নিজস্ব প্রতিবেদন : ধ্রুপদী সঙ্গীত থেকে বাংলা আধুনিক গান, ভক্তিগীতি, কীর্তন কিংবা কবিগান বাংলা গানের জগতের সব আঙ্গিকেই রয়েছে তাঁর স্পর্শ। তাঁর সুরের মূর্ছনায় আপামর বাঙালি থেকে গোটা দেশ আচ্ছন্ন ছিল, আছে ও থাকবে। তিনি আর কেউ নন, সঙ্গীতশিল্পী মান্না দে। বাঙালি তথা গোটা দেশের গর্ব, আবেগ ও ভালোবাসা। আজ তাঁর শততম জন্মদিনে আরও একবার ফিরে দেখা সঙ্গীতশিল্পীকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যুগ বদলেছে, বদলেছে বাঙালির প্রাত্যহিক অভ্যাস। তবে গান শোনার অভ্যাসটা কখনওই বদলায় নি। কলেজ স্ট্রিটের বই পাড়ায় কফি হাউসের আড্ডা এখনও বেঁচে আছে, তবে তার আমেজ যে আর আগের মতো নেই। এই আফসোস হয়ত বাঙালি সবসময়ই তাড়া করবে। আর এই আফসোসের সঙ্গে বেঁচে থাকবে মান্না দে-র সেই জনপ্রিয় গান কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই।


তবে শুধু আড্ডাতেই নয়, বাঙালির প্রেম, নস্টালজিয়া সবেতেই গানের সুরে ছুঁয়ে গিয়েছেন শিল্পী। গেয়েছেন 'ও কে এত সুন্দরী হলো', 'ও চাঁদ সামলে রাখো জোছনাকে', 'জানি তোমার প্রেমের যোগ্য আমি তো নই', 'কে প্রথম কাছে এসেছি', আমার ভালোবাসার রাজপ্রাসাদে-র মতো গান।






তবে শুধু বাংলা গানেই নয়, সেই রাজ কাপুরের সময় থেকে অংখ্য, অজস্র হিন্দি গানে তিনি সঙ্গীতপ্রেমীদের মুগ্ধ করে এসেছেন। 'পেয়ার হুয়া ইকরার হুয়া' থেকে 'কেতকী গুলাব জুহি', 'লাগা চুনরি মে দাগ', 'জিন্দেগী ক্যায়সি হ্যায় পহেলি', 'ইয়ে রাত ভিগি, ভিগি', 'তু প্যায়ার কা সাগর হ্যায়' সহ তাঁর গাওয়া বহু হিন্দি গান আজও সঙ্গীত প্রেমীদের প্লে-লিস্টে ঘোরাফেরা করে।



সারা জীবনে ৫হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেছেন মান্না দে। তবে শুধু হিন্দি কিংবা বাংলা গানেই তাঁর সীমাবদ্ধতা নেই, আরও অনেক ভাষাতেই গান গেয়েছেন তিনি। ২০১২ সালে শেষবার এই কিংবদন্তী লাইভ পারফরম্যান্স করতে দেখেছেন সঙ্গীতপ্রেমীরা। আজ তাঁর শততম জন্মদিনে Zee ২৪ ঘণ্টার তরফে রইল শ্রদ্ধার্ঘ্য।