নিজস্ব প্রতিবেদন: নিজের নির্দেশনায় নিজের বায়োপিক। নিজের বায়োপিকেই অভিনয়। নিজের বায়োপিকের স্ক্রিন প্লে-তে সহ-লেখক। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই হল আমেরিকান পপ সিঙ্গার ম্যাডোনার আসন্ন বায়োপিকের পরিকল্পনা। যা শুনে ও জেনে স্বভাবতই হিল্লোলিত তাঁর ভক্তকুল। 


আসলে ৬২ বছর বয়সেও এত এনার্জি ও সৃষ্টিশীলতার নামই তো ম্যাডোনা। ৬২ বছর বয়সেও এত  প্রাণোন্মাদনা ও চ্যালেঞ্জের নামই তো ম্যাডোনা। যিনি একদা লাইক আ ভার্জিন, ট্রু ব্লু নামের আকাশছোঁয়া সব অ্যালবামের জন্ম দিয়েছেন তাঁর পক্ষে অবশ্য এ সব নতুন কিছু নয়, আশ্চর্যেরও কিছু নয়। তিনি বরাবরই এরকম ঝুঁকি নিতে ভালবাসেন, নেন এবং সাফল্যের শিখর স্পর্শ করেন। এমনি এমনি তো কুইন অফ পপ অভিধা জোটেনি তাঁর।


অন্য একটি সংস্থা অবশ্য অনেক আগেই ভেবে রেখেছিল ম্যাডোনার জীবন-ফিল্মটি তারাই বানাবে। কিন্তু ফুঁসে উঠে পপ-রানি বলেছিলেন, ওনলি আই ক্যান টেল মাই স্টোরি। অন্যরা আমার জীবন নিয়ে ছবি বানাবার কে?


ঠিক কথা। কিন্তু সেলুলয়েডে কী বলবেন তিনি? কী আবার! নিজের জীবনের কথা, প্রতিষ্ঠার কথা, প্রতিষ্ঠা পাওয়ার লড়াইয়ের কথা, সেই-লড়াই জেতার কথা, অশ্রু ও যন্ত্রণার কথা, আলোর সড়কে সওয়ার হওয়ার কথা, এবং অবশ্যই পাদপ্রদীপের অন্ধকারের কথা। যা কোনও ভাবেই কারও পক্ষে তাঁর মতো করে জানার কথা নয়, বলতে পারার কথাও নয়।


প্রায় চার দশকের সঙ্গীতজীবনের নানা বাঁকে নানা রঙ তাঁর। যেখানে সঙ্গীতের সুরের সঙ্গে নৃত্যের অপরূপ তালভঙ্গিও তাঁকে ক্রমে একটা কাল্ট-এ পরিণত করেছে। প্রজন্মের পর প্রজন্মকে মুগ্ধ করেছেন। এবং নিজের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কার করে নিয়েছেন আশ্চর্য শৈলীতে। এই বায়োপিক সম্বন্ধে বলেছেনও, মিউজিক এবং আর্ট-ই আমাকে এগিয়ে যেতে এবং বেঁচে থাকতে সাহায্য করেছে। 


এবং এই বেঁচে থাকার জার্নিতেই তিনি কখনও ছবির নির্দেশনাও দিয়েছেন, ছবিতে অভিনয়ও করেছেন। ফলে এই বায়োপিকে তাঁর নিজের স্ক্রিন প্লে লেখা, নির্দেশনা দেওয়া বা অভিনয় করার প্রসঙ্গ একেবারেই নতুন নয়। বরং এ একরকম নিজেকেই ফিরে দেখা, নিজের আয়নার সামনে আর একবার দাঁড়ানো।