নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘ এক মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অবশেষে প্রয়াত হলেন বাংলা সংস্কৃতি জগতের অন্যতম বিশিষ্ট মুখ, বিশিষ্ট আবৃত্তিকার বাচিক শিল্পী পার্থ ঘোষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দমদম গোরাবাজারের বাসিন্দা হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন পার্থ ঘোষ। জানা গিয়েছে, ল্যারিংক্সে ক্যানসার ছিল তাঁর। ছিল সিওপিডি। শনিবার ভোরে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ৭.৩৫ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।


পার্থ ঘোষের মৃত্যুতে বাংলা সংস্কৃতি জগতে নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া। বিশেষ করে শূন্যতা অনুভূত হচ্ছে আবৃত্তি জগতে। অনেকেই স্তব্ধবাক, ভাষাহারা, হতচকিত তাঁর মৃত্যুতে। তবে এরই মধ্যে নিজেদের একটু গুছিয়ে-থিতিয়ে নিয়ে জি ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে কথা বলেছেন আবৃত্তিকার উর্মিমালা বসু ও ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়।


হতচকিত উর্মিমালা বসু বলেন, '৭০-এর দশক থেকে পার্থ ঘোষের সঙ্গে পরিচয়। আমরা একটা পরিবারের মতো ছিলাম। অত্যন্ত সুভদ্র, গুণী এক মানুষ। কত কিছু শিখেছি ওঁর কাছ থেকে। শিখেছি উচ্চারণ, বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা আর ওই ভাবে রবীন্দ্রনাথকে আত্মস্থ করা, সেটাও তো শেখার মতো! ওঁর মৃত্যু আমার কাছে ব্যক্তিগত ক্ষতি। মনটা খারাপ। গুছিয়ে বলার মতো মানসিকতাটা এই মুহূর্তে নেই।'


ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই রকম ব্যথাকাতর। তিনি বলেন, 'মনেই হচ্ছে না, পার্থদা নেই। বিশ্বাসই করতে পারছি না। কিছুদিন আগে গৌরীদি চলে গেলেন। তখনও পার্থদার বাড়ি গেছি। পার্থদার সঙ্গে কথা হয়েছে। পার্থদা-গৌরীদি হলেন আবৃত্তি জগতের উত্তম-সুচিত্রা। আমাদের ছোটবেলাটা ঘিরে আছেন পার্থদা এবং গৌরীদি। আমি আজ যেখানে এসে দাঁড়িয়েছি, সেটার পিছনে ওঁদের প্রেরণা প্রচুর। আমরা যারা আজ আবৃত্তি নিয়ে কাজ করছি, আগামি দিনেও যাঁরা আসবেন, তাঁদের সকলের মাথার উপরেই আছেন এঁরা, ছিলেন, থাকবেনও। চিরকালই ছায়া দিয়ে যাবেন এঁরা। খুব স্বল্প সময়ের ব্যবধানে আমরা আবৃত্তি জগতের অনেককেই হারালাম। মানুষের তো মৃত্যু হবেই। কিন্তু তাঁদের চলে যাওয়াটা যেন মেনে নেওয়া যায় না।'     


আরও পড়ুন: Partha Ghosh: প্রয়াত বাচিক শিল্পী পার্থ ঘোষ; আবৃত্তি-জগতে বিষাদের ছায়া! শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)