Koushik Ganguly, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : ২৬ অগস্ট মুক্তি পেতে চলেছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত 'লক্ষ্মী ছেলে'। আপাতত এই ছবির জন্যই আলোচনায় রয়েছেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। সোশ্যল মিডিয়ায় 'বয়কট লক্ষ্মী ছেলে' স্লোগানের কারণেও বিতর্ক চলছে। তবে এসবের মাঝেই Zee ২৪ ঘণ্টার স্টুডিওতে সম্পূর্ণ অন্যকারণে 'লাইমলাইট'-এ এলেন পরিচালক। মুখ খুললেন রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গেও। যদিও কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সাফ কথা, 'আমি রাজনীতির গন্ডগোলে জড়াতে চাই না।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 'লাইমলাইট'-এর অনুষ্ঠানে উঠে আসে ২০১৬ সালে তৃণমূলের হয়ে তাঁর বক্তৃতা দেওয়ার প্রসঙ্গ। টিটাগড় ও দমদমে সেই বক্তৃতা দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে কৌশিক বলেন 'আমি বক্তৃতা দিতে পারি। তবে ওই একদিন গিয়েই বুঝে গিয়েছি এটা আমার জায়গা নয়। যাঁরা আমায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তাঁদেরকে সেটা জানিয়েও দিয়েছিলাম। কারণ আমি শারীরিকভাবে হজম করতে পারব না, মানসিকভাবেও হজম করতে পারব না। ওটা একটা আলাদা জগত। ভবিষ্যতে কখনও পারব কিনা জানি না। তবে বহুদূর পর্যন্ত আমি সেটা দেখতে পাচ্ছি না। কোনও রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই নয়।'


কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, 'একটা শহরে যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, তাঁদের কাছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রস্তাব আসতেই থাকে, এটা ওঁদের পাওনা। সিনেমার জগতের ক্ষেত্রে আমার নাম আসে, এদিক ওদিক সব কমিটিই আমায় আমন্ত্রণ পত্র পাঠায়। রাজ্য সরকারের এমন কমিটিও রয়েছে যেখানে বোর্ড অফ ডিরেক্টরসে আমার নাম আছে, অথছ কোনও মিটিংয়েই আমি যায়নি।' পরিচালকের কথায়, 'আসলে সিনেমার লোকেদের সবকিছুতেই জড়িয়ে ফেলা হয়। কারণ, যখন সরকার পরিবর্তনের সময় এসেছিল তখন বহু মানুষ রাস্তায় নেমেছেন, কথা বলেছেন, সেখানে একটা আবেগ কাজ করেছিল। কিন্তু আমি দেখেছি, শিল্পীরা রাজনীতিটা হ্যান্ডেল করতে পারেন না। কারণ তাঁদের মনটা এতটাই নরম।'


আর পড়ুন-বন্যায় ভেঙে পড়েছে বাড়ি, পরিবার নিয়ে রাস্তায় Coke Studio-খ্যাত গায়ক



আরও পড়ুন-আয়রনম্যান মিলিন্দ সোমন জেনারেল মানেকশ, ইমারজেন্সিতে কঙ্কনা-চমক!


 কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় জানান, 'আমার ছবি লক্ষ্মী ছেলে-তে অভিনয় করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। বাবুলের গানের আমি ভক্ত। বাবুল নেতা হওয়া সত্ত্বেও ওঁর অভিনয় করার ইচ্ছা, গানের ইচ্ছে রয়েছে।' প্রসঙ্গক্রমে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়কে মুখোমুখি হতে হয় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের। বলা হয়, যেসময় তিনি তৃণমূলের কিছুটা কাছের, ঠিক সেসময়ই তাঁর ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়, তখন আবার তিনি বিজেপিতে। তাহলে এটা কি ব্যলেন্স করার জন্য? এপ্রশ্নে কৌশিকের জবাব, 'এখানে ব্যালেন্সের কোনও জায়গা নেই। বাবুল আমার ছবিতে অভিনয় করেছেন, তাতে বিজেপির কীই বা এসে যায়! এটার কোনও প্রয়োজনই নেই। কোনও রাজনৈতিক দল আমার কিচ্ছু করতে পারবে না। আমি এর আগেও বলেছি, আবারও বলছি, কোনও রাজনৈতিক দল কথা রাখে না।'


পরিচালক জানান, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ছিলেন আমার শ্বশুরমশাই-এর ক্লাসমেট। উনি জানতেন আমি চূর্ণীর স্বামী, তবে কখনও কথা বলতেন না। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার সঙ্গে কথা বলেন। আমার শ্বশুরবাড়ি কমিউনিস্ট জেনেও উনি চূর্ণীর দাদু যখন অসুস্থ খবর নিয়েছেন। আমি জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। এটা আমি কখনও ভাবতেও পারিনি। শিল্পীরা গুরুত্ব পেয়েছেন, এটা আমাদের প্রাপ্তি।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)