ওয়েব ডেস্ক: 'বিরাট', 'ক্রিকেট', 'ম্যান অব দ্য ম্যাচ' এই তিনই এখন সমার্থক। বড় ম্যাচ, রান তাড়া করে ভারত ম্যাচ জিতবে, বিরাট ম্যাচ জেতাবে এই সব এখন রোজকার ব্যাপার। একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে! বিরাটও পারেন বটে, একই কাজ রোজ করেন, ক্লান্তও হন না। এই তো কালকের ম্যাচটা। ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া। নিজের 'শেষ' আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে গিয়ে জান লড়িয়ে দিয়েছিলেন শেন ওয়াটসন। ব্যাটিংয়ে বিরাট, মুচকি হেসে ব্যাটে উত্তর দিলেন, ধুস! এই ম্যাচ জিততে এত কসরত কীসের? মিস টাইমেও ছয়। ফকনার তো ক্লান্ত। আর কতবার বিরাট আমাকে এমন নৃশংসভাবে পেটাবে। যতই হোক আমি অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়। ব্যাগি গ্রীন জার্সি পড়ে খেলতে নামলে মাথায় তো ৫টা বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাস জ্বল জ্বল করে। একটুও সম্মান করে না বিরাট!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গোটা মোহালি মোবাইল টর্চ জ্বালিয়েছে, সব আলো বিরাটে। চার, ছয় আর 'উইসেন বোল্ট'। ২২ গজে ওমন ভাবে ১ রানকে ২ রানে কনভার্ট করতে গেলে যে দৌঁড় দৌঁড়াতে হয়, যা বিরাট ও ধোনি করলেন তাতে চাপে বিশ্বের দ্রুততম মানব উইসেন বোল্ট। একথা অনস্বীকার্য, বোল্ট ট্র্যাকে দ্রুততম, ২২ গজে ধোনি, বিরাট। প্রমাণিত। এসবই হল, ভারত ম্যাচও জিতল, এখানে বাকিদের ম্যাচ উপভোগ আর আনন্দ করা ছাড়া আর বিশেষ কোনও কর্ম থাকে কি? মানুষটা পুনম পাণ্ডে হলে উত্তরটা হল, বিরাট রান করলে, পুনম আরও বেশি খোলামেলা হন, এটাই তাঁর আনন্দ, এটাই তাঁর উপভোগ, এটা বিরাটকে 'ম্যন অব দ্য ম্যাচের পুনম অ্যাওয়ার্ড'।



পুনম আগেও যা করেছেন, এখনও তাই করেন। রানের গতি বাড়ে, পুনমের খোলামেলা হওয়ার গতিও বাড়ে। ৫১ বলে ৮২ রানের ইনিংস বিরাটের। 'পুনম ইন ওনলি টু পিস'। টুইটারে এই নিয়ে খেউড়, ভাগ্যিস বিরাট সেঞ্চুরি করার সুযোগ পাননি। আর 'ওইটা' করতেও মওকা পাননি পুনমও।