Mangal Dhillon Death: প্রয়াত ‘জুনুন’, ‘বুনিয়াদ’-খ্যাত অভিনেতা মঙ্গল ধিলোঁ

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জুনুন ও বুনিয়াদ খ্যাত প্রবীণ অভিনেতা মঙ্গল ধিলোঁ রবিবার ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে হেরে গেলেন। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে লুধিয়ানার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন আগে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। অভিনেতা যশপাল শর্মা ফেসবুকে খবরটি শেয়ার করে বলেছেন, “মঙ্গল ধিলোঁ জি, আরপি।"

শিরোমণি আকালি দলের সভাপতি সুখবীর সিং বাদল মঙ্গল ধিলোঁনের মৃত্য়ুতে শোকপ্রকাশ করে টুইটারে তিনি লিখেছেন, “প্রখ্যাত অভিনেতা, লেখক, পরিচালক এবং পাঞ্জাবি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির প্রযোজক মঙ্গল ধিলোঁনের মৃত্যু সম্পর্কে জানতে পেরে দুঃখিত। এটা ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের জন্য একটি বড় ক্ষতি। তাঁর আকর্ষণীয় কণ্ঠস্বর এবং নাট্য প্রদর্শনগুলি অনেকেই মিস করবেন। আমি তাঁর শোকাহত পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং ভক্তদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই।”

অভিনেতা পাঞ্জাবের ফরিদকোট জেলার কোটকাপুরার কাছে ওয়ান্ডার জাটানায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দিল্লিতে থিয়েটারে কাজ করেন এবং ১৯৭৯ সালে চণ্ডীগড়ের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয় থিয়েটার বিভাগে যোগ দেন। ১৯৮০ সালে তিনি অভিনয়ের কোর্স করেন।

মঙ্গল ধিলোঁনের টিভি শো এবং সিনেমা

মঙ্গল ধিলোঁ একই সময়ে টেলিভিশন এবং সিনেমায় কাজ করেছেন। তিনি ১৯৮৬ সালের 'বুনিয়াদ' শোতে লুভায়া রামের ভূমিকায় অভিনয় করেন। ১৯৮৮ সালে 'খুন ভরি মাং' সিনেমায় একজন উকিলের ভূমিকায় অভিনয় করেন, যেখানে রেখা প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এর আগে তিনি আরও অনেক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। ১৯৯৩ সালে 'জুনুনের' সঙ্গে টিভিতে ফিরে আসেন, যেখানে তিনি সুমের রাজবংশের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ২০০০ সালে টিভি শো 'নুরজাহানে' আকবরের প্রধান ভূমিকা অভিনয় করেছিলেন।

মঙ্গল ধিলোঁনের সিনেমা

'পেয়ার কা দেবতা', 'রণভূমি', 'স্বর্গ ইয়াহান নরক ইয়াহান', 'বিশ্বাতমা', 'দিল তেরা আশিক', 'ট্রেন টু পাকিস্তান'-এই সিনেমাগুলিতে তিনি কাজ করেছেন। ২০০৩ সালে ফারদিন খান-অভিনীত 'জনশিনে' তাঁকে দেখা গিয়েছিল।