শর্মিষ্ঠা গোস্বামী চট্টোপাধ্যায়:  প্রভাস এলেন, তাঁর ক্যারিশ্মা আর Swagger নিয়ে। গোটা দেশের ‘দিল’ এখন যাঁর জন্য ধকধক করছে, তিনি এক আঞ্চলিক ছবির তারকা। বলিউডের নাক-উঁচুপনা আর বিতর্কিত নেপোটিজমের জবাব। জবাব তাঁদেরও,যাঁরা কিছুতেই ক্র্যাক করতে পারছিলেন না শাহরুখ-সলমন-আমিরের পর লার্জার দ্যান লাইফ নায়ক কে হবেন? কোন নায়কের উপর প্রযোজক চোখ বন্ধ করে টাকা লগ্নি করতে পারবেন।তেলেগু সিনেমার বাহুবলি. তাঁর অভিনয় ক্ষমতা, ব্যারিটোন কণ্ঠস্বর, গভীর চোখ, সারল্য,স্টাইল,অ্যাকশন নিয়ে হাজির, যা কিনা ‘সাহো’ ছবির মূলধন।শ্রদ্ধা কাপুরের সঙ্গে প্রভাসের অনস্ক্রিন রসায়নে কুপোকাত দর্শক। শ্রদ্ধাও গত কয়েক বছর ধরেই কনটেন্টধর্মী সিনেমা এবং মেনস্ট্রিম সিনেমায় সমান ভাবে সফল।তা রাজকুমার রাওয়ের সঙ্গে ‘স্ত্রী’ হোক, অথবা বরুণ ধাওয়ানের সঙ্গে ‘ABCD 2’। এবার ৩৫০ কোটির বাজেটে তৈরি ‘সাহো’তেও তিনি যথাযথ, পরিণত ও পরিচ্ছন্ন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এবার প্রভাস-শ্রদ্ধাকে সরিয়ে নিলে ছবি কেমন।ঠিক ছবির গল্প যেমন। সাধারণ স্টোরিলাইন।শুধু গল্প বলার ভঙ্গিটাই আলাদা। ছবিতে পুলিস আছে, চোর আছে,মাফিয়া জগত্‍ আছে। এমনকি একটা্ ব্ল্যাক বক্স ও আছে, যার মধ্যে নিহিত আছে সব স্টেক হোল্ডারদের প্রাণভোমরা। রয় এম্পায়ারের ওয়ারিশ ঠিক কে হবে, ২০০০ কোটি টাকা ডাকাতির আন্ডারকভার পুলিস অফিসার অশোক চক্রবর্তী হিসাবে দর্শক দেখতে পাবেন প্রভাসকে। হলিউড স্টাইল অ্যাকশনে প্রভাস সগর্বে উতরেছেন কেন বেটসের হাত ধরে।‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’-র মত গাড়ির চেজ সিকোয়ে্ন্স এই ছবির বাজেটকে নিশ্চিতভাবে ন্যায্য প্রতিপন্ন করে। বুর্জ খলিফায় ছবির সবথেকে বড় দৃশ্য খুবই ডিটেলে শুটিং করা হয়েছে। আগেই জানা গিয়েছিল,শুধুমাত্র ঐ দৃশ্যেই খরচ হয়েছে ২৫ কোটি। অন্তত ঐ দৃশ্যটুকু দেখলেও ছবির টিকিটের দাম উঠে আসবে দর্শকদের।


আরও পড়ুন-ছাপিয়ে যাবে অ্যাভেঞ্জার্স এন্ডগেমকেও! মুক্তির প্রথম দিনেই ৭০ কোটির ব্যবসা 'সাহো'র?



তবে ছবির সঙ্গীত বিভাগ সবথেকে দুর্বল। তনিষ্ক বাগচি, গুরু রনধাওয়া - জমাতে পারলেন না কেউই। অস্ট্রিয়ার ইন্স্রুকের স্বর্গীয় সৌন্দর্য পেয়েও কোরিওগ্রাফিতে তা মেশাতে পারলেন না বৈভবী মার্চেন্ট।


ছবির আরও একটি বড় প্লাসপয়েন্ট তার অনসম্বল কাস্ট। অনেকদিন পর নজর কাড়লেন চাঙ্কি পাণ্ডে। মহেশ মঞ্জরেকর, প্রকাশ বেলাওয়াড়ি, টিনু আনন্দ, মন্দিরা বেদি, জ্যাকি শ্রফ সকলেই সুনাম ধরে রেখেছেন। আলাদা করে বলতেই হয় মুরলি শর্মার কথা। সাহো-র ছায়াসঙ্গী ডেভিডের ভূমিকায় তিনি অনবদ্য। তবে এত হাইপ নিয়ে এসেও তেমন কিছু করতে পারলেন না নীল নীতিন মুকেশ।


আরও পড়ুন-করণের পার্টিতে মাদক সেবন? অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন ভিকি


পরিচালক সুজিত তিনটি ভাষায় এই ছবির প্ল্যান করে প্রথম মাস্টারস্ট্রোকটি মেরেছেন। দু বছরের পরিশ্রম দর্শকদের সবুরে মেওয়া ফলাতে পারত, যদি ছবির দ্বিতীয়ার্ধের চিত্রনাট্য ফার্স্ট হাফের মতই টানটান হত। মোটের উপর ছবির সুপারহিট হওয়া ঠেকানো মুশকিল। প্রভাস, ভারতীয় ছবিতে প্যান ভারত দর্শকদের তরফে স্বাগত।