Dev : `বুম্বাদার জন্য কোনদিনই প্রাণ দিতে পারব না...`
এদিন উঠে আসে দেবের সঙ্গে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পুরনো মতোবিরোধের প্রসঙ্গ। শোনা যায়, `ককপিট`-এ কাজ করার সময় ট্রেলারে প্রসেনজিতের মুখ দেখানো নিয়ে তাঁদের মধ্যে মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল। যদিও বহু আগেই দুই তারকা তাঁদের সেই মনকষাকষি মিটিয়ে নিয়েছিলেন। সে প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, `বড় ভাই-এর কাছে ছোটভাই একই রকম থাকে। একসঙ্গে বাসন থাকলে ঠোকাঠুকি লাগে, তবুও সংসার ভেঙে যায় না। ও যখন প্রযোজক হিসাবে এই গল্প নিয়ে এল তখন মনে হয়েছিল মিশুক (প্রসেনজিতের ছেলে) যদি বড় হয়ে ছবি করতে চায়, তাহলে আমি যেভাবে পাশে থাকব, সেভাবেই এই ছবিটা করব।`
Prosenjit Chatterjee, Dev, অনসূয়া বন্দ্যোপাধ্যায়: 'বুম্বাদার জন্য জীবন দিতে চাই না। আমি সারাজীবন সঙ্গে থাকতে চাই।' শুক্রবার 'কাছের মানুষ' ছবির ট্রেলার লঞ্চে এসে কাতর আর্তি দেবের। প্রসঙ্গত, 'কাছের মানুষ' ছবির ট্রেলারে জীবন বিমা কোম্পানির এজেন্ট সুদর্শনকে নিজের মুনাফা অর্জনের জন্য কুন্তলকে মেরে ফলতে উদ্যত হতে দেখা যায়। আর এই সুদর্শনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। কুন্তলের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে দেবকে। আর এদিন ছবির সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই এমন মন্তব্য করেন সাংসদ, অভিনেতা।
অন্যদিকে, ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠানে উঠে আসে দেবের সঙ্গে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পুরনো মতোবিরোধের প্রসঙ্গ। শোনা যায়, 'ককপিট'-এ কাজ করার সময় ট্রেলারে প্রসেনজিতের মুখ দেখানো নিয়ে তাঁদের মধ্যে মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল। যদিও বহু আগেই দুই তারকা তাঁদের সেই মনকষাকষি মিটিয়ে নিয়েছিলেন। সে প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, 'বড় ভাই-এর কাছে ছোটভাই একই রকম থাকে। একসঙ্গে বাসন থাকলে ঠোকাঠুকি লাগে, তবুও সংসার ভেঙে যায় না। ও যখন প্রযোজক হিসাবে এই গল্প নিয়ে এল তখন মনে হয়েছিল মিশুক (প্রসেনজিতের ছেলে) যদি বড় হয়ে ছবি করতে চায়, তাহলে আমি যেভাবে পাশে থাকব, সেভাবেই এই ছবিটা করব।' এদিন প্রসেনজিৎ জানান, 'আমার ছেলে মিশুক দেবের অন্যতম অনুরাগী। তাঁর জিমের সময় দেবের ছবির গানই বাজে। ফোনের কলারটিউনেও ও আমার নয় দেবের ছবির গান সেট করে রেখেছে।' ছবির ট্রেলার লঞ্চে এসে একসঙ্গে সেলফি তুলতেও দেখা যায় প্রসেনজিৎ-দেবকে।
আরও পড়ুন-'লোভী' দেবকে মারতে উদ্যত প্রসেনজিৎ!
আরও পড়ুন-সোনালির পানীয়তে মেশানো হয় মাদক! সামনে এল CCTV ফুটেজ
ট্রেলারে দেখা যাচ্ছে, কুন্তল (দেব) কাছের মানুষ তাঁর মা (তুলিকা বসু) তাঁরই ভুলে শয্যাশায়ী। যেকারণে আত্মগ্লানি আর মনোকষ্টে ভুগছেন 'কুন্তল' দেব। অসুস্থ মা-কে জড়িয়ে ধরে দেবকে বলতে শোনা যায়, 'নিজে দোষ করলে নিজেকে শাস্তি দেওয়া যায়। কিন্তু ধরুন, কাছের মানুষ আপনার উপর অভিমান করে নিজেকে শাস্তি দিয়েছে তাহলে কি নিজেকে ক্ষমা করা যায়?' আর এরপরেই কুন্তলের জীবনে ধূমকেতুর মতো এসে হাজির হন জীবনবীমা কোম্পানিক এজেন্ট 'সুদর্শন' (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়)। কুন্তলের মৃত্যুর সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে তাঁর ফায়দা। সেই এজেন্টই তাঁকে এটা বিশ্বাস করায়, 'গাড়ি গড়াতে যেমন চাকা লাগে, কলিযুগে বাঁচতে গেলে তেমন টাকা লাগে'। এখানেই শেষ নয়, এজেন্ট সুদর্শন তাঁকে বোঝায়, কুন্তলের মৃত্যুই একমাত্র তাঁর মায়ের জীবন মসৃণ করতে পারে। তাই তাঁকে মরতেই হবে। কিন্তু কীভাবে মরবেন কুন্তল? তারও নানান উপায় বাতলে দেন ওই এজেন্ট। তবে নাহ, শেষ অবধি তার কোনওটাই কাজ করে না। কুন্তলের জীবনে হঠাৎ এসে হাজির নতুন প্রেম ইশা সাহা। যে তাঁকে বোঝায়, 'শুধু টাকা থাকলেই ভালো থাকা যায় না, কাছের মানুষগুলোকেও লাগে।' এরপরই ধীরে ধীরে বদলে যায় কুন্তলের জীবন। কিন্তু ছবির পরবর্তী পর্যায়ে জীবন বিমা কোম্পানির এজেন্ট 'সুদর্শন' প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কী হবে, তা ৩০ সেপ্টেম্বর ছবি মুক্তির পরই জানা যাবে।