জয়ীতা বসু : দীর্ঘদিন ধরে মেগা সিরিয়ালের সঙ্গে যুক্ত তাই সময় করে পুজোর কেনাকাটা করা তাঁর কাছে বেশ কঠিন কাজ। ভোর থেকে সন্ধ্যা কিংবা মাঝ রাত, যে কোনও সময়ই তিনি বেশ ব্যস্ত। পুজোর দিন গুটিগুটি পায়ে কাছে এগিয়ে আসলেও তাই সেভাবে পরিকল্পনা করে তাঁর কেনাকাটা করা হয়ে ওঠে না কোনওবারই। এবারও তার অন্যথা হয়নি। শ্যুটিং করতে করতেই বন্ধুর বুটিকে ফোন করে শাড়ি বেছে রেখে দিতে বলেন টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


পুজো শুরুর আগে জি ২৪ ঘণ্টার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল 'কী করে বলব তোমায়' ধারাবাহিকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্তর সঙ্গে। পুজোর  শপিং নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পর্দার রাধিকা জানান, মেগা সিরিয়ালের সঙ্গে যুক্ত থাকায়, সব সময় বেজায় ব্যস্ত থাকতে হয়। হাত প্রায় সময় থাকে না বললেই চলে। প্রত্যেকবার শ্যুটিংয়ের মাঝে কোনও বন্ধুকে ফোন করে বলে দেন, বুটিক খোলা রাখতে। সেখানে গিয়েই মায়ের জন্য পছন্দ করে টপাটপ করে শাড়ি তুলে নেন। এবারও সেই একই অবস্থা। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনা আতঙ্ক।


আরও পড়ুন :  বেরনো বন্ধ, বাড়ি বসে সেজেগুজে, খেয়েদেয়েই কেটে যাবে পুজো, বললেন 'ফিরকি'


করোনা সংক্রমণের ভয়ে অনলাইনে কেনাকাটা করছেন না ঠিকই তবে খুব বেশি বাইরে গিয়ে শপিং করতেও নারাজ স্বস্তিকা। পুজো আসতে আরও কয়েকটা দিন বাকি রয়েছে তাই পরিকল্পনা করে টুকটাক কেনাকাটা করেই ফেলবেন বলে জানান পর্দার রাধিকা। অনলাইনে কেনা কোনও পোশাক তাঁর ঠিক পোষায় না। অনলাইনে শপিং তাই রাধিকার একেবারে না-পসন্দ। করোনাকালে শ্যুটিংয়ের ফাঁকে একটু আধটু বেরিয়ে কেনাকাটা করেই ফেলবেন বলে জানান স্বস্তিকা দত্ত।



আরও পড়ুন :  মাস্ক পরে, ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে বেরবো কীভাবে! করোনার ভয় হাসি কেড়েছে কনীনিকার


যদিও পুজোয় এবার বাইরে বেরনোর পরিকল্পনা তেমন নেই স্বস্তিকার। বাড়িতে বসে সেজেগুজে থাকবেন আর প্রচুর খাওয়াদাওয়া করবেন বলে জানান অভিনেত্রী। পুজোর পাঁচটা দিন তিনি ভাত খাবেন বলেও জানালেন স্বস্তিকা। সারা বছর তাঁর খুব একটা ভাত খাওয়া হয় না কিন্তু পুজোর কটাদিন তিনি ভেতো বাঙালি হয়েই সময় কাটাবেন বলেও স্পষ্ট জানালেন স্বস্তিকা দত্ত। বাড়িতে বসে বাবা-মায়ের সঙ্গে খেয়েদেয়ে এবারের পুজো কাটাবেন বলেই ইচ্ছে রয়েছে রাধিকার। শুধু তাই নয়, পুজোর কটাদিন মায়ের হাতের ভাল ভাল রান্নাও খেতে চান বলে জানান রাধিকা।


করোনার মধ্যে পুজো বাড়িতে কাটালেও, মাঝ রাতে গাড়ি নিয়ে একটু বেরনোর ইচ্ছে রয়েছে । পুজোর সময় আলোর মালায় কলকাতা যেভাবে সেজে ওঠে, সেই হাতছানি থেকে নিজেকে বিরত রাখা বেশ কষ্টকর। পুজোয় দিনগুলোর মধ্যে একটা রাতে তাই গাড়ি নিয়ে কলকাতা ঘোরার ইচ্ছে রয়েছে বলেও জানান স্বস্তিকা দত্ত।