নিজস্ব প্রতিবেদন : মোবাইল গেমের নেশা শিশুদের জন্য সর্বনাশ ডেকে আনছে। আর এই বিষয় নিয়ে তৈরি পরিচালক রাজ চক্রবর্তী(Raj Chakraborty)র ছবি 'হাবজি গাবজি'। ছবিটি যখন প্রেক্ষাগৃহে, তারই মাঝে লখনউ-এ ঘটে গিয়েছে ভয়ঙ্কর একটা ঘটনা। পাবজি গেম খেলতে না দেওয়ায় বাবার পিস্তল দিয়ে মা-কে খুন করেছে বছর ১৬-র এক কিশোর। এই ঘটনায় হতবাক গোটা দেশ। লখনউ-এর ঘটনা প্রসঙ্গে ঠিক কী বলছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

Zee ২৪ ঘণ্টার ব্রেকফাস্ট শোয়ে এসে রাজ বললেন, ''ক্যানসারের থেকেও বেশি মারাত্মক হতে চলেছে গেমিং ডিসঅর্ডার। শিশুদের মোবাইল ফোনে আসক্তি যে কতটা ভয়ানক, তা আমি বহু আগেই অনুভব করেছিলাম। ইউপি-তে যে ঘটনা ঘটেছে, ওই একইরকম ঘটনাটা আমাদের ছবির বিষয়বস্তু। গেমিং ডিসঅর্ডার যে কতটা মারাত্মক, তা ছবির জন্য রিসার্চ করার সময়ই বুঝতে পেরেছিলাম। আমরা যে ঘটনা ছবিতে তুলে ধরেছি, তার প্রত্যেকটাই সত্যি।''


আরও পড়ুন-Sunny leone : অতীত জানলে ঘৃণা করবে ছেলেমেয়েরা? আশঙ্কায় সানি


রাজ আরও জানান, ''সম্প্রতি হল ভিজিটে গেছি, একটা শিশু আমায় কী জিজ্ঞাসা করল জানেন, তুমি এই ছবিটা কেন বানিয়েছ? আমি পাল্টা জিজ্ঞেস করি, কেন আমি কি কিছু ভুল করেছি? তখন ও বলল আমার বাবা-মা বলছে, আমায় আর মোবাইল দেবে না। বাচ্চারা মোবাইল না পেলে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, তার গল্পই 'হাবজি গাবজি'। রাজের কথায়, আসলে শিশুদের নয়, বাবা-মায়ের কাউন্সেলিং দরকার।


ঘটনা ও রাজের কথা প্রসঙ্গে মনোবিদ স্মরণিকা ত্রিপাঠি আমাদের শোয়ে বলেন, শিশুরা আসলে অ্যাটেনশন চায়, ওরা চায় ওদের কেউ বুঝুক। বাবা-মায়েরা আজকাল ব্যস্ত, বাইরে কোডিভ, বন্ধুদের সঙ্গে কথা বললে বাড়ির লোকেরা বাধা দেয়, তাহলে ওরা কী করবে! ওরা তাই ভার্চুয়াল জগতের মাধ্যমে সেই অভাবগুলো পুরণ করার চেষ্টা করে।  বাবা-মায়ের কাউন্সেলিং দরকার, রাজের এই কথায় একপ্রকার সহমত পোষণ করেন মনোবিদ স্মরণিকা ত্রিপাঠি। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)