সৌমিতা মুখোপাধ্যায়: যুদ্ধবিধস্ত ইউক্রেনে(Ukraine) এক অন্য লড়াই লড়ছেন তিনি। রাজধানী কিয়েভে(Kyiv) মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন কলকাতার পৃথ্বীরাজ ঘোষ। কলকাতায় ফেরার কোনও চেষ্টা করছেন না তিন, কিন্তু কেন? এই বাঙালি চিকিৎসক বলছেন, 'এত বছর ধরে এখানে আছি। এখন ছেড়ে গেলে ভালো লাগবে না। আপাতত কিছু দায়িত্ব আছে। সেগুলি ছেড়ে যাওয়া উচিত নয়'! ছেলের কাজে গর্বিত বাবা-মা। কিন্তু কলকাতায় বসে উৎকণ্ঠাও বাড়ছে বৃদ্ধ দম্পতির। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চারিদিকে গোলা-গুলি শব্দ। প্রাণ বাঁচাতে হস্টেল ছেড়ে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের পড়ুয়ারা। জল নেই, খাবার নেই। এমনকী, বাঙ্কারে কমছে অক্সিজেনের সরবরাহও! তাহলে কোন দায়িত্বের পালনের জন্য ইউক্রেনে রয়ে গিয়েছেন? কেন ফিরতে চাইছেন না? শুধু ভারতীয়রাই নন, বিভিন্ন দেশের তিনশোর বেশির পড়ুয়াকে এখনও পর্যন্ত নিরাপদ স্থানে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন পৃথ্বীরাজ। প্রায় ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে রয়েছেন পৃথ্বীরাজ ঘোষ। তাই এই অস্থির সময়ে নিজের দায়িত্ব ভুলে ফিরে আসতে পারছেন না পৃথ্বীরাজ।


যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে বাঙালি ডাক্তারের বীরাগাথায় মুগ্ধ অভিনেতা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত(Rituparna Sengupta)। জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের মাধ্যমে বাস্তবের নায়ককে কুর্নিশ জানালেন তিনি। ঋতুপর্ণা বলেন, 'ডাঃ পৃথ্বীরাজ ঘোষকে জানাই আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম, আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা। ওঁর অসম্ভব মনের জোরকে কুর্নিশ। উনি এই অসম্ভব পরিস্থিতিতে যেভাবে নিজের সততা বজায় রেখে নিজের মানসিকতা, ধৈর্য্য বজায় রেখে যে এরকম একটা পদক্ষেপ করেছেন তারজন্য অসম্ভব সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমরা খুবই হেল্পলেস বোধ করছি। ভীষণ দিশেহারা লাগছে। জানি না, এতদূর থেকে কীভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারি! উনি যে ওখানে থেকে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটা সহজ ব্যাপার নয়। যেকোনও মানুষই আগে নিজেকে বাঁচাতে চায়, সেখানে উনি যে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ফেরত আসতে চান, তারজন্য ওঁকে অনেক ধন্য়বাদ আর সেলাম।' 


আরও পড়ুন: Mrinal Sen-Kaushik Ganguly: জন্মশতবর্ষে মৃণাল সেনকে শ্রদ্ধার্ঘ্য, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের নতুন ছবি 'পালান'


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)