জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: "আমার দিদি চলে গেল। কিন্তু মনে হয় না এটা বলতে পারব আমি কখনও যে, আমার দিদি চলে গেল। কারণ আমার দিদি এতটাই শক্তি যে, আমার ভিতরে, আমার বাইরে, শক্তি জোগায় সব সময়। এই মানুষটা চিরকাল আমাকে বলেছে, ঋতু তুমি কখনও থামবে না। তুমি কখনও ভাঙবে না। তুমি সব সময় এগিয়ে যাবে। যত প্রতিকূলতা-ই আসুক। আমার দিদির কথাগুলো রোজ আমার কানে বাজবে। যতদিন আমি বেঁচে থাকব। এত স্নেহ, এত ভালোবাসা এই দিদি আমায় দিয়েছে যে, কোনওদিন বুঝিনি যে আমার নিজের দিদি নেই।" বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদারের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঋতুপর্ণা আরও বলেন, "শ্রীলা মজুমদারের মত অভিনেত্রী আমাদের চলচ্চিত্র জগতে বিরল। শ্রীলা মজুমদার একটাই ছিলেন, থাকবেন। শেষ কয়েকটা দিন অনেক লড়াই করেছেন। কষ্ট পেয়েছেন। সবসময় বলতেন, জানিস ঋতু আমি ভালো হয়ে যাব। আর হয়তো কয়েকটা দিন।" শ্রীলা মজুমদারের সঙ্গে করা কাজগুলো যে তাঁর স্মৃতির মণিকোঠায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে, সেকথা-ই বললেন ঋতু। 


ক্যানসারে প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার। জরায়ুতে ক্যানসার রোগ বাসা বেঁধেছিল তাঁর। দীর্ঘ দু'বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। শেষে এদিন দুপুরে হার মানলেন মারণ রোগের কাছে। এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ কলকাতায় টালিগঞ্জে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী। মৃ্ত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তাঁর মত দাপুটে অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ টলিউড। 


মৃণাল সেনের হাত ধরে মাত্র ১৬ বছর বয়সেই অভিনয় জগতে হাতেখড়ি হয় শ্রীলা মজুমদারের। ১৯৮০ সালে মৃণাল সেনের ছবিতে শ্রীলা মজুমদারের প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে। অভিনেত্রীর শেষ কাজ কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের 'পালান'। তাঁর ঝুলিতে আছে পরশুরাম, এক দিন প্রতিদিন, অকালের সন্ধানে, খারিজ, চোখ, আরোহণ, মান্দি, শংকর মুদি, দামুল, ফিরিয়ে দাও -এর মত সিনেমা।


আরও পড়ুন, Kolkata International Book Fair 2024: ১৭ বছরের গার্হস্থ্য হিংসার যন্ত্রণা ভুলিয়েছে 'ছেলে', আজ মায়ের লেখা বই উদ্বোধন করল চিকু!



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp)