``সরোজ খানের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল``, অভিজ্ঞতার কথা জানালেন ঋতুপর্ণা
সরোজ খানের সঙ্গে অল্প হলেও কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সেকথা Zee ২৪ ঘণ্টা ডট কমের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন ঋতুপর্ণা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'সকলের প্রিয় মাস্টারজি' ছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে তাঁর হঠাৎ করে 'না ফেরার দেশে' চলে যাওয়ার খবরে মন ভালো নেই বলি-থেকে টলি সমস্ত শিল্পীদের। সরোজ খানের মৃত্যুতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অভিনেত্রী তথা নৃত্য়শিল্পী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সরোজ খানের সঙ্গে অল্প হলেও কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সেকথা Zee ২৪ ঘণ্টা ডট কমের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন ঋতুপর্ণা।
সরোজ খানকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, ''এই সম্পূর্ণ বছরটাই শোকের বছর। বহু শিল্পী, সাধারণ মানুষ..., শুধু মৃত্যু আর মৃত্যু। আজকের খবরটা শুনে মনে হল, এমন একজন মানুষ চলে গেলেন, যিনি একটা যুগের শেষ করে দিয়ে গেলেন। আমরা ছোট থেকে বড় হয়েছি সরোজ খান নামটা শুনে। যাঁরা নাচকে ভালোবাসেন তাঁরা জানেন, উনি নাচের জগতে কত বড় পরিবর্তন এনেছিলেন। নাচকে উনি একটা ক্লাসি জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ক্লাস ও মাস-এর মেলবন্ধন ঘটিয়েছিলেন তিনি। একজন নায়িকা ওনার কোরিওগ্রাফিতে কতটা সুন্দর হয়ে উঠতে পারেন, তা করে দেখিয়েছিলেন। প্রত্যেক নায়িকাকে উনি নবজন্ম দিয়েছিলেন। মাধুরী দীক্ষিত থেকে শ্রীদেবী সকলেই সরোজজির হাত ধরেই অন্যভাবে উঠে এসেছেন।''
আরও পড়ুন-''বলিউডে কেউ স্বজনপোষণ করলে রাজ ঠাকরের দল তাঁকে উচিত শিক্ষা দেবে'' সাফ বার্তা MNS-এর
আরও পড়ুন-'পা নাড়াতে না পারলে, মুখ তো নাড়াও' যব উই মেটের শ্যুটিংয় করিনাকে বলেছিলেন মাস্টারজি
সরোজ খানের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা জানান ঋতুপর্ণা। বলেন, ''আমার ওনার সঙ্গে কাজ করার একটা ছোট্ট সুযোগ হয়েছিল। আমার প্রযোজনায় তৈরি ডান্স পে চান্স, বলি ভার্সেস টলি-তে উনি বিচারক ছিলেন। ৪৫টি পর্ব হয়েছিল। আমি তারই একটি বিশেষ এপিসোডে ডোলা রে ডোলা পারফর্ম করেছিলাম। খুবই ভয় পেয়েছিলাম, ভেবেছিলাম, ওনার সামনে আমি পারবো না। কিন্তু উনি আমায় বলেছিলেন, যে আমি এই নাচটা কীভাবে ভেবেছি, উনি দেখতে চান। এটা আমার কাছে অন্যরকম অভিজ্ঞতা। কিছু জিনিস শিখেছিলাম ওনার কাছে। ওনার সান্নিধ্য পেয়েছিলাম, এটা আমার জীবনে একটা বড় সম্পদ।''
ঋতুপর্ণা আরও বলেন, ''উনি খুবই হাসিখুশি মানুষ ছিলেন। সরোজ খানের মৃত্য়ু আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হল। উনি চিরকালই অনুপ্রেরণা হয়ে থেকে যাবেন। উনি যা রেখে গেলেন তা আমাদের পাথেয় হয়ে থাকবে। ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি। ''