নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপিতে রুদ্রনীল ঘোষ। রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে একই বিমানে দিল্লির পথে জনপ্রিয় অভিনেতা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেশ কিছুদিন ধরেই বেসুরো বাজছিলেন রুদ্রনীল। জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে নিজে স্পষ্ট করে জানান, দেশের ভোটাররা যদি প্রতি পাঁচ বছর অন্তর বদলের কথা চিন্তা করেন, তাহলে দেশের এক সাধারণ নাগরিক হিসেবে তাঁর রাজনৈতিক রং বদলে কোনও অসুবিধা থাকার কথা নয়। এরপর নেতাজি জন্ম জয়ন্তীতে ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে সেলফি পোস্ট করেন রুদ্রনীল। তারপরই গুঞ্জন আরও জোরদার হয়। শোনা যায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর সাক্ষাতের দৌত্যও করেন তিনি।



টলিউডের উঠতি অভিনেতা সোহেল দত্তর জন্মদিনে আলাদা আলাদা সময়ে হাজির হন রাজীব ও শুভেন্দু। দুজনের সঙ্গেই দেখা যায় রুদ্রনীলকে। এরপর জল্পনা আরও বাড়তে থাকে। ইতিমধ্যেই টলি পাড়াতেও ফুল বদলের হিড়িক। জোড়া ফুল থেকে পদ্মের দিকে ঝুঁকে রয়েছেন বেশ কিছু মুখ। রুদ্রনীল (Rudranil Ghosh) ও আরও কয়েকজনের মাধ্যমে শিল্পী মহলে জাল বিস্তার করতে চাইছে বিজেপি। তা আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে আজ বিজেপিতে অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে বৈঠকের পর যদি রুদ্রনীল বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন।


আরও পড়ুন : মানুষ লাল থেকে সবুজ, গেরুয়া হলে আমারও মত পাল্টানোর অধিকার রয়েছে: রুদ্রনীল


সম্প্রতি রুদ্রনীল ঘোষের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে জোর তরজা শুরু হয়। যেখানে রুদ্র কেন রং বদল করতে চাইছেন, তা নিয়ে অনেকে অনেক মন্তব্য করতে শুরু করেন। এমনকী, রুদ্রর রং বদল নিয়ে একটি মিমও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। যার উত্তরে মুখ খোলেন রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি বলেন,  ''কেউ মিম বানাতেই পারেন। সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা। আমি কোনওদিন তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে যোগ দিইনি। যাঁরা এমন বলছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষই কিন্তু ২০১১ থেকে একবার লাল, একবার সবুজ আবার লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়াতেও ভোট দিয়েছেন। আসলে তো মানুষ ভালো থাকতে চায়, যে কারণেই এক সরকার বদলে তাঁরা অন্য সরকার আনেন। তাঁর কী পাচ্ছেন, আর কীসে প্রতারিত হচ্ছেন, তার ভিত্তিতে তাঁরা মত দেন। সাধারণ মানুষের যদি মত বদলানোর অধিকার থাকে, তাহলে আমার থাকবে না কেন?''