নিজস্ব প্রতিবেদন : ৪৮-এ পড়লেন সইফ আলি খান। পতৌদির নবাবের জন্মদিনে বুধবার রাতভর পার্টি করেন করিনা কাপুর খান, ইব্রাহিম আলি খান এবং সারা আলি খান। কিন্তু, সইফের ৪৮-এর জন্মদিনে তাঁর প্রথম পক্ষের দুই সন্তান হাজির হলেও, পরিস্থিতিটা আগে কিন্তু এমন ছিল না। অর্থাত, নিজের ছেলে, মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে আগে প্রথম স্ত্রী-র অনুমতি নিতে হত সইফকে। অবাক হচ্ছেন শুনে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন : সইফের জন্মদিন, করিনার সঙ্গে রাতভর উল্লাস ইব্রাহিমের


ঘটনা খুলেই বলা যাক তাহলে। পরিচালক রাহুল রাওয়ালির ‘বেখুদি’-র সেটে সইফ আলি খানের সঙ্গে পরিচয় হয় অমৃতা সিং-এর। অমৃতার সঙ্গে আলাপ জমাতে তখন বেশি সময় নেননি সইফ। অমৃতাকে নিয়ে ডিনারেও যান সইফ আলি খান। বাবা-মায়ের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও এরপর ১৯৯১ সালে অমৃতা সিং-কে বিয়ে করেন সইফ আলি খান। সইফের চেয়ে ১২ বছরের বড় অমৃতার সঙ্গে নবাব ঘরও করেন ১৩ বছর।



সইফ, অমৃতার ১৩ বছরের সংসারে তাঁদের কোলে আসে সারা আলি খানে বং ইব্রাহিম খান। কিন্তু, ছেলের জন্মের কিছুদিন পর থেকেই অমৃতার সঙ্গে সইফের অশান্তি শুরু হয়। এবং ২০০৪ সালে ভেঙে যায় সইফ, অমৃতার বিয়ে। সইফের সঙ্গে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরই দুই সন্তানকে নিয়ে নবাবের বাড়ি ছাড়েন অমৃতা।


আরও পড়ুন : প্রথম স্ত্রী রিনার সঙ্গে বিচ্ছেদ, কিরণকে বিয়ে, বিস্ফোরক আমির খান


সইফের দাবি, অমৃতা বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সময় তাঁদের দুই সন্তানকেও নিয়ে যান। সারা, ইব্রাহিমকে এরপর আর তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হত না বলে অভিযোগ করেন সইফ। শুধু তাই নয়, সারা এবং ইব্রাহিমের ছবি নিয়ে সইফ সব সময় কান্নাকাটি করতেন। সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে, সইফকে অপমান করা হত বলে অভিযোগ। সইফের সঙ্গে অন্য মহিলার সম্পর্ক রয়েছে সেই অভিযোগেই সারা, ইব্রাহিমকে নবাবের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হত না বলে অভিযোগ।


আরও পড়ুন : টাইগারের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকছে দিশা? 'ধরা' পড়লেন ব্যান্দ্রায়


সারা, ইব্রাহিমের জন্য কান্নাকাটি করলেও, ওই সময় সইফকে বার বার অপমান করা হত। খোরপোশ দেওয়া হলেও, সন্তানরা সইফের কাছে অধরাই ছিল বলেও অভিযোগ করেন বলিউড অভিনেতা। অমৃতা অনুমতি না দেওয়ায় সারার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সইফকে। ভাই এবং তাঁর যখন ববাবাকে প্রয়োজন ছিল, তখন তিনি কোথায় ছিলেন বলেও প্রশ্ন করেন সইফ-কন্যা। মেয়ের প্রশ্নের মুখে পড়েওই সময় তিনি লজ্জায় লাল হয়ে যেতেন বলেও জানান সইফ। ওই সময় সারা সিং এবং ইব্রাহিম সিং বলেও তাঁদের ডাকা হত বলেও জানান সইফ। যদিও, সারা, ইব্রাহিমের ১৮ বছর বয়স হওয়ার পর, অমৃতার বাধ্যবাধকতা অনেকটাই উঠে যায়। আর সেই কারণেই সইফ, করিনার সংসারেও এখন অবাধ যাতায়াত সারা আলি খান এবং ইব্রাহিম খানের।