নিজস্ব প্রতিবেদন: তৈমুর আলি খান, ইনায়া নওমী খেমু  এই সেলেব কিড যে যেকোনও বলিউড তারকার জনপ্রিয়তাকেই হার মানাতে পারে। বিশেষ করে ছোট্ট নবাব তৈমুরের জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন না তোলাই ভালো। তবে ইদানীংকালে তৈমুরের গুন্ডামি নাকি একটু বেশিই বেড়েছে, সেকথা কি জানেন? সম্প্রতি তৈমুরের দুষ্টুমি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন খোদ তার বাবা সইফ আলি খান। সইফের কথায়, তাঁর ছেলে তৈমুর আসলে একটা গুন্ডা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিছুদিন আগে সোহা আলি খান বলেছিলেন, ''তৈমুরের যা বয়স, ও এই বয়সে সবকিছু নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে যায়। ও এখন সবকিছুই ধরতে পারে। ক্রমাগত এই বিষয়টা ওর মধ্যে বাড়ছে। ও এখন সবকিছু ধরছে আর সেটা ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে। আর ইনায়া এখন বড্ড ছোট। তাই আমরা সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকি। তাই ওদের দুজনকে পাশাপাশি রাখতেও আমরা ভয় পাই। বিশেষ করে ভাই (সইফ) তো খুব ভয় পায়। তৈমুর যখন ইনায়ার কাছাকাছি থাকে ভাই (সইফ) ভীষণই ভয়ে ভয়ে থাকে।''


আরও পড়ুন- ক্যান্সারে আক্রান্ত ইরফানের জন্য এভাবেই সাহায্যের হাত বাড়ালেন শাহরুখ


তবে সোহা যেসময় তৈমুরকে নিয়ে এসব কথা বলেছিল, সসময় থেকে এখন যে বিশেষ পার্থক্য ঘটেনি তা বোঝাই যাচ্ছে। সম্প্রতি হিন্দুস্থান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তৈমুর ও ইনয়া সম্পর্কে বলতে গিয়ে সইফ বলেন, '' ওরা ঘরে একসঙ্গেই থাকে (তৈমুর ও ইনায়া) ইনায়া খুবই ছোট এবং ভীষণই শান্ত। আর তৈমুর ততটাই দুষ্ট, অত্যাচারী। যদিও আমরা সবসময় ওদের দুজনকে ঘিরে থাকার চেষ্টা করি তাই চিন্তার কিছু নেই। তবে তৈমুর একটা গুন্ডা। আমার তো সব সময় আতঙ্ক লাগে যে ও ইনায়ার চুল ধরে না টানাটানি করে।''


সইফ আরও বলেন, ''বাড়িতে একসঙ্গে থাকলে আমি কুণালের (কুণাল খেমু) সঙ্গে গল্প করতে থাকি। আর সোহা ও করিনা বাচ্চাদের নিয়েই আলোচনা করতে থাকে। সোহা মাঝে মাঝে আমায় পরামর্শ দেয়। তবে বেশিরভাগ সময় ও আর করিনা বাচ্চাদের নিয়েই ব্যস্ত থাকে। আর আমরা বাড়ির এককোণে বসে আড্ডা দিতে থাকি, মদ্যপান করতে থাকি।''


পাশাপাশি, তৈমুর নিয়ে আরও অনেক কথাই শেয়ার করেন সইফ, তিনি বলেন, ''তৈমুর সকাল সাড়ে ৭টায় ওঠে আর আমি ৯টায়। ও ঘুম ভাঙলেই আমার বিছানার উপর ওঠে, সেখানে রাখ টর্চ টা নেয়, আর সেটা জ্বালিয়ে নিজের জিভের উপর ফেলে, যেন সে একজন চিকিৎসক। ও এসবই করতে থাকে। তবে রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ও চাঁদ দেখে। ও ওটা দেখতে ভীষণ ভালোবাসে, প্রকৃতি, গাছপালা ও খুব ভালোবাসে। সম্প্রতি ও যোগা করছে। ওটা করার সময় ও মুখে নানান রকম আওয়াজ করে, যেটা খুবই বিরক্তিকর। ও শরীর নুইয়ে যোগা করতে যায়, আর সব সময়ই ওল্টে পড়ে যায়।''


আরও পড়ুন-হস্তমৈথুনের দৃশ্যে লতাজির গান ব্যবহার করণের, ক্ষুব্ধ মঙ্গেশকর পরিবার