Sandhya Mukhopadhyay: গীতশ্রীর প্রয়াণে `শোকস্তব্ধ` মুখ্যমন্ত্রী, উত্তরবঙ্গ সফর কাটছাঁট করে ফিরছেন মমতা
শিল্পীর মৃত্যুর খবর পেয়ে একের পর এক টুইট করে তাঁর শোক জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রবাদপ্রতিম শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মঙ্গলবার সন্ধেয় শিল্পীর প্রয়াণের খবর পেয়েই তাঁর উত্তরবঙ্গ সফর কাটছাঁট করে কালই কলকাতায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী।
শিল্পীর মৃত্যুর খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী একের পর এক টুইট করে প্রয়াত শিল্পীর প্রতি তাঁর শোক জ্ঞাপন করেন। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় আর নেই। তাঁর মৃত্যুতে আমি গভীর শোকাহত। তাঁর মৃত্যুকে সঙ্গীত জগতে ও লাখ লাখ মানুষের হৃদয়ে এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হল। ওঁকে আমি বরাবরই নিজের দিদির মতো নজর রাখতাম। তাই তাঁর মৃত্যু আমার কাছে এক ব্যক্তিগত ক্ষতি। আমাদের সঙ্গীত অ্যাকাডেমির প্রাণ ছিলেন সন্ধ্যা। তাঁকে আমরা 'বঙ্গবিভূষণ', সঙ্গীত 'সঙ্গীত মহাসম্মান' খেতাবে সম্মানিত করেছিলাম।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ পথচলা থেমে যায় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের(Sandhya Mukhopadhyay)। বাইপাশের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন ধরেই ভর্তি ছিলেন শিল্পী। কিছুদিন ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন। কোভিডেও আক্রান্ত হন। তা সেরে গেলে তাঁর কোমরে অস্ত্রোপচারও করা হয়। সোমবার থেকেই তাঁর রক্তচাপ কমতে থাকে, শুরু হয় পেটে ব্যথাও। মঙ্লবার অবস্থা আরও সঙ্কজনক হলে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত হয়। শেষপর্যন্ত সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ পর্য়ত হন প্রবাদপ্রতিম এই শিল্পী।
আরও পড়ুন-Sandhya Mukhopadhyay Dies: সুরের আকাশে অস্তরাগ, প্রয়াত 'গীতশ্রী' সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
রাজ্য সরকারের তরফে এক শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee) লিখেছেন,কিংবদন্তীপ্রতিম সঙ্গীতশিল্পী, অমর সুরসাধিকা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমি গভীরতম শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দশকের পর দশক ধরে তিনি তাঁর অবিস্মরণীয় কণ্ঠমাধুর্যের জাদুতে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রেখেছিলেন। তাঁর গাওয়া অসংখ্য গান সঙ্গীতপ্রেমীদের পছন্দের তালিকায় আজও শীর্ষে রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১১ সালে 'বঙ্গবিভূষণ', ২০১২ সালে 'সঙ্গীত মহাসম্মান' ও ২০১৫ সালে 'ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলি বিশেষ সঙ্গীতসম্মান' প্রদান করে। এছাড়া তিনি ভারত নির্মাণ অ্যাওয়ার্ড, ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড, বিএফজেএ অ্যাওয়ার্ড সহ বহু সম্মানে ভূষিত হন। তিনি আমৃত্যু পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত একাদেমীর সভাপতিও ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল।