Sandhya Mukhopadhyay: সাফল্যের পরেও কী কারণে মুম্বই ছেড়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়?
কেন মুম্বই থেকে ফিরে এসেছিলেন সন্ধ্যা, তা নিয়ে আজও অনেকের মনে নানা জিজ্ঞাসা
নিজস্ব প্রতিবেদন:১৯৫০ সালে মুম্বই পাড়ি দিয়েছিলেন বাংলা আধুনিক গানের সম্রাজ্ঞী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ১৭ টি হিন্দি ছবিতে প্লেব্যাক করেন তিনি। শচীন দেব বর্মনের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল তাঁর মুম্বই সফর। শচীন দেববর্মন তাঁকে নিয়ে গেলেও মুম্বইয়ে প্রথম প্লেব্যাকের সুযোগ হল অনিল বিশ্বাসের সুরে 'তারানা' ছবিতে। সেই ছবিতে গান গাইতে গিয়েই তাঁর পরিচয় হয় লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে। লতার সঙ্গে ডুয়েট গেয়েছিলেন 'তু বোল পাপিহে বোল'। এরপর প্রায় সতেরোটি হিন্দি ছবিতে গান গেয়েছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। কিন্তু আচমকাই মুম্বই থেকে কলকাতা ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কেন ফিরে এসেছিলেন তা নিয়ে আজও অনেকের মনে নানা জিজ্ঞাসা।
মুম্বইয়ে সন্ধ্যার অন্যতম প্রিয় বন্ধু ছিলেন লতা মঙ্গেশকর। সুরের জগতের দুই নক্ষত্র লতা মঙ্গেশকর(Lata Mangeshkar) ও সন্ধ্য়া মুখোপাধ্যায়(Sandhya Mukhopadhayay)। একসময় গানের জগতে দাপিয়ে বেরিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের কন্ঠের জাদুতে মুগ্ধ হয়েছে সংগীতপ্রেমীরা। গানের সূত্রে দুজনেই একে অপরের ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। সমবয়সী এই দুই শিল্পীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে অনেক কথা শোনা যায়। তাঁদের ঘিরে রয়েছে অনেক গল্প, কেউ বলেন তাঁরা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন, আবার কারোর মতে তাঁরা ভালো বন্ধু ছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন তাঁর ও লতা মঙ্গেশকরের ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা। মুম্বই থেকে কলকাতায় ফিরে আসার পর পরবর্তীকালে সন্ধ্যার ঢাকুরিয়ার বাড়িতেও এসেছেন লতা।
আরও পড়ুন: Sandhya Mukhopadhyay died: সুরের আকাশে অস্তরাগ, চলে গেলেন 'গীতশ্রী' সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মুখে তাঁর ও লতার বন্ধুত্বের গল্প শোনা গেলেও বলিউডে কান পাতলেই শোনা যেত তাঁদের রেষারেষির গল্প। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় আসার পরই নাকি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন লতা মঙ্গেশকর। এই গুজব শুনে একদিন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে সোজাসুজি লতা জিজ্ঞেস করেছিলেন, 'আমি কেন তোমায় হিংসে করব?' জবাবে শুধু হেসেছিলেন সন্ধ্যা। এমনকি হেসে ফেলেন লতাও। আসলে একে অপরের ভালো বন্ধু ছিলেন তাঁরা। মুম্বইয়ে থাকাকালীন সময়ে লতার বাড়ি যেতেন সন্ধ্যা। এমনকি লতাও হোটেলে আসতেন সন্ধ্যার সঙ্গে দেখা করতে। সারাদিন কাটাতেন একসঙ্গে। সন্ধ্যার মায়ের হাতের রান্না খেতে পছন্দ করতেন লতা। লতার কাছ থেকে একবার অটোগ্রাফ চেয়েছিলেন গীতশ্রী। তাঁকে নিজের একটি ছবি উপহার করেছিলেন লতা। পাশাপাশি লতাকে একটি আংটি উপহার দিয়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তাঁদের রেষারেষির যে গল্প ছড়িয়েছিল তা নেহাতই গুজব ছিল। আসল জীবনে তাঁরা ছিলেন একে অপরের বন্ধু। হিন্দি গান গেয়ে মানসিক সন্তুষ্টতা পাচ্ছিলেন না, সে কারণেই বাংলায় ফিরে এসেছিলেন সন্ধ্যা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই স্বীকার করেছিলেন সে কথা।