নিজস্ব প্রতিবেদন: এভাবেই একটা নাটকের জন্ম হয়ে যায়, আর কেউ জানতেও পারে না। এক একটা ধর্ষণ, এক একটা ধর্ষিতা জন্ম দেয় এক একটা প্রতিবাদের। এক একটা আন্দোলনেরও। জন্ম হয় এক একটা স্লোগানের। আর সহস্র ঠোঁটে ওই একটা স্লোগানই জন্ম দেয় একটা নাটকের। শহর-নগর-বন্দরের রাস্তায় রাস্তায় মঞ্চস্থ হয় সেই নাটক। যাকে এক কথায় বলে স্ট্রিট প্লে। পথের দাবি, মানুষের দাবি, সমাজের দাবি, নারীর দাবি, সব এক হয়েই এই পথ নাটিকা কথা বলে। আরও বলে- ‘আমরা ধর্ষণের বিরুদ্ধে’।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৬ বছরেরও বেশি সময় এই কাজটাই করে চলেছে সঞ্জিতা এবং সঞ্জিতার ‘পথের মানুষ’। গুমা, বালুরঘাট, হাবড়া কিংবা রানাঘাট, যখনই নারীর সম্ভ্রম লুঠ হয়েছে, তখনই ‘সশস্ত্র’ আন্দোলনে নেমেছে সঞ্জিতারা। একমাত্র এবং অন্তিম অস্ত্র- নাটক নিয়েই দুয়ারে দুয়ারে হাজির হয়েছে ওরা। আর প্রতিবার নির্যাতিতার কানে একটাই মন্ত্র দিয়ে এসেছে- কিছু হয়নি! যে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছো তুমি (ধর্ষিতা), সেটা তোমার পরিচয় নয়। তোমার আসল পরিচয় তোমার কাজ। রাষ্ট্রের রক্তচক্ষু আর নীতি পুলিসের অবজ্ঞাকে মারিয়ে সঞ্জিতারা ওদের কাজ করে চলেছে অবিরাম, অনবরত।


কেমন ছিল এই অভিজ্ঞতা? নিজের কলমেই তা সঞ্চিত করে রেখেছিল সঞ্জিতা। সেই গল্পই এবার পূর্ণাঙ্গ নাটকের রূপ পেয়েছে। জীবনের গল্পকে নাটকের রূপ দিয়েছেন উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়।


এটি একটি একক অভিনয়ের নাটক। তবে এর নেপথ্যে রয়েছে একাধিক নাট্যকার্মীর পরিশ্রম। যেমন 'ত্রিনয়ন'-এর সঙ্গীত রচনা করেছেন অভিজিত্ আচার্য। আর মঞ্চে অভিনয়ে থাকছেন সঞ্জিতা। মূল চরিত্রের নাম সুভগা। ভগাঙ্কুর থেকেই এই নাম। আবার অন্য অর্থে বলা যেতে পারে সৌভাগ্যও। নাটক ‘ত্রিনয়ন’ মঞ্চস্থ হবে আগামী ৪ অগাস্ট, স্থান- জ্ঞানমঞ্চ।



‘ত্রিনয়ন’ নিয়ে সঞ্জিতা জানালেন- জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়েই এই নাটক। যা রোজ দেখি, যা রোজ দেখানো হয়, সেই সব অভিজ্ঞতা নিয়েই এই নাটক। মাটির মূ্র্তিতে দেবীত্ব আরোপ করে রাষ্ট্র যে শাসন চালায় সেই শোষণের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে ‘ত্রিনয়ন’।