Madan Mitra Biopic: বায়োপিকে পর্দার মদন মিত্রের চরিত্রে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়! খোলসা করলেন পরিচালক রাজর্ষি দে
`শুধু ও লাভলি হয়ে ওঠা নয়। আমি মানুষটার প্রতি পক্ষপাতী নই। আমি ওঁর রাজনৈতিক জীবন এক্সপ্লোর করতে চাইছি`, রাজর্ষি দে
সৌমিতা মুখোপাধ্যায়: নিজের বায়োপিকের(Biopic) হাত ধরেই সিনেমায় ডেবিউ করছেন মদন মিত্র(Madan Mitra)। রাজ্যপালের চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। কিন্তু কাকে দেখা যাবে মদন মিত্রের চরিত্রে, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। কী বলছেন পরিচালক রাজর্ষি দে(Raajhorshee De)?
প্রশ্ন-এই ছবিতে কী কালারফুল মদন মিত্রকে নিয়েই চিত্রনাট্য তৈরি হবে?
রাজর্ষি দে- স্টেজে মুখ্যমন্ত্রী একজনকে বলছেন তিনি কালারফুল মানুষ, সেই কালারফুল হয়ে ওঠার পিছনে একটা বড় ইতিহাস আছে। তিনি আমার এলাকা কামাবহাটি বিধানসভার বিধায়ক। সেখানে তিন টার্মে আমি ওঁকে পেয়েছি। ঐ বিধানসভা এলাকায় একদিকে রয়েছে দক্ষিণেশ্বর,আদ্যাপীঠ যা হিন্দুদের ধর্মীয় স্থান আবার তার পাশেই রয়েছে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা। সেখানে আমরা কখনও কোনও সাম্প্রদায়িক ঝগড়া ঝামেলা দেখিনি। ভারতবর্ষ আজকে যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে জনদরদী হয়ে এই এলাকাটা আগলে রাখা মুখের কথা নয়। শুধু তাই নয়, এখানে সাগর দত্ত হাসপাতাল যা ভেঙে পড়ছিল একসময়, সেটাকে সুপার স্পেশ্যালিটি হসপিটাল বানিয়েছেন। আমি দেখেছি একটা মানুষ বসে আছেন আর কাউকে ফেরাচ্ছেন না। আমি দেখেছি, যখন তিনি হেরে গিয়ে আকর বিধায়ক রইলেন না, তখনও তখনও সবাই এসে তাঁকে দিয়ে সাইন করছেন, তিনি বুঝিয়েও পারছেন না যে বিধায়ক হয়ে সই করার অধিকার নেই। এটা শুধু ও লাভলি হয়ে ওঠা নয়। আমি মানুষটার প্রতি পক্ষপাতী নই। আমি ওঁর রাজনৈতিক জীবন এক্সপ্লোর করতে চাইছি।
প্রশ্ন- শুধু কি তাহলে রাজনৈতিক কেরিয়ারই থাকছে?
রাজর্ষি দে- না দুটো দিকই থাকবে। কালারফুল ব্যাপারটাও থাকবে। রাজনৈতিক জীবনের ওঁর দুটো পার্ট আছে। একটা জননেতা ও আরেকজন জনপ্রিয় নেতা। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আনুগত্য, এটাও বিশাল ব্যাপার।
প্রশ্ন- একাধিক বায়োপিকের কথা শোনা যাচ্ছে।
রাজর্ষি দে- না এখন আর কোনও কনফিউশন নেই। আমি একাই মদন মিত্রের বায়োপিক করছি। পদ্মনাভ দাশগুপ্তের সঙ্গে স্ক্রিপ্ট নিয়ে বসব। আমরা একসঙ্গে কাজ করি। দু তিনজন মিলে চিত্রনাট্য লিখব।
প্রশ্ন- মদন মিত্রের কোন সময়টাকে ফ্রেমবন্দি করবেন?
রাজর্ষি দে- রাজনৈতিক কেরিয়ারের শুরু থেকে এই সময় অবধি, পুরো সময়টাই তুলে ধরা হবে।
প্রশ্ন- পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিও অনেকটা জড়িয়ে, কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন?
রাজর্ষি দে- অনেকটাই মদনদার থেকে গল্প শুনছি। এছাড়াও বিগত ২৫ বছরের সংবাদ পত্র ঘেঁটে দেখা হচ্ছে। পুরনো বই, খবরের মেটেরিয়াল যা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিকে তুলে ধরেছে সব নিয়েই রিসার্চ চলছে। একদম সত্যের উপর নির্ভর করেই তৈরি হবে।
প্রশ্ন- কবে শুটিং শুরু হবে?
রাজর্ষি দে- এবছরের শেষে শুটিং শুরু হবে।
প্রশ্ন- শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ই কি পর্দার মদন মিত্র?
রাজর্ষি দে- আমি দুটো জিনিস বলবো, প্রথমত মদন মিত্রের বায়োপিকের স্ক্রিপ্টটা এখনও তৈরি হচ্ছে নিয়ে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ে কথা হয়েছে। মদনদা নিজেও অপুদার বাড়ি গিয়েছিলেন। দ্বিতীয়ত আমি সম্ভাব্য কিছু অভিনেতার সঙ্গে কাজ করি, তার বাইরে কারোর সঙ্গে কাজ করি না, তাঁদের মধ্যে রয়েছে তনুশ্রী চক্রবর্তী, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, গৌরব চক্রবর্তী, মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে স্ক্রিপ্ট যখন ফ্লোরে যাবে এদের নিয়েই কাজ করবে।
প্রশ্ন- প্রাথমিকভাবে তো কথা হয়েছে, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় কী বলছেন?
রাজর্ষি দে- সাধারণত অভিনেতারা যা বলেন, স্ক্রিপ্ট দেখতে চান। এতে কোনও ভুল নেই। সব অভিনেতারাই আগে চিত্রনাট্য দেখতে চান, পরিচালকেরও দায়িত্ব আগে চিত্রনাট্য দেখিয়ে নেওয়া।
আরও পড়ুন: ছুরির আঘাতে রক্তাক্ত জনপ্রিয় তানজানিয়ান কিলি পল, লাঠির ঘায়ে ভাঙল হাত