জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলাদেশে(Bangladesh) শ্যুটিংয়ে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফেরেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়(Sayantika Banerjee) । প্রথমবার বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় করতে ঢাকায় গিয়েছিলেন নায়িকা। সেখানে গিয়ে এক কোরিওগ্রাফারের সঙ্গে মনোমালিন্য হয় সায়ন্তিকার। অভিনেত্রী বলেন যে তাঁকে না জিগ্গেস করেই তাঁর হাত ধরেন ঐ কোরিওগ্রাফার। তবে অভিনেত্রী আরও জানান যে প্রধানত সমস্যা প্রযোজকের। এরপর সেই প্রযোজকও একগুচ্ছ অভিযোগ করেন নায়িকার বিরুদ্ধে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- Somy Ali on Salman Khan: অশ্লীল ভাষায় সলমানকে আক্রমণ, ফের বিতর্কে সোমি আলি...


সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে ফের মুখ খোলেন অভিনেত্রী। কোরিওগ্রাফার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অকারণে কেন একজন শিল্পীর নামে মিথ্যা বলতে যাব? ও খুব আগ্রহ নিয়ে নিজের কাজ করার চেষ্টা করছিল। হয়ত কথা বলতে বলতেই না বুঝে আমার হাত ধরে নাচের পজিশন বুঝিয়েছে, কাজটা বোঝানোর চেষ্টা করেছে। তার মধ্যে কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। ওঁর আশেপাশের মানুষই এ ধরনের খারাপ কথা রটাচ্ছে।’


অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রযোজক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সায়ন্তিকার সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হাস্যকর। হাত ধরা নিয়ে সায়ন্তিকার সমস্যা মাইকেল বাবুর সঙ্গে।তিনি পরিচালককে ফোন করে মাইকেল বাবুকে মারতেও চেয়েছিলেন। এখন আমার বিরুদ্ধে সায়ন্তিকা কেন অভিযোগ করছেন, সেটাই তো বোধগম্য নয়। আমার সঙ্গে তার সমস্যা হলে মাইকেলকে কেন বসিয়ে রাখবেন? একজন তারকা যদি নিজের ব্যক্তিত্ব ধরে রাখতে না পারেন, তা হলে আর কী বলার আছে।’


সায়ন্তিকার বিরুদ্ধে অপেশাদারিত্বের অভিযোগ করে মনিরুল বলেন, ‘কিভাবে শুটিং হবে, এটা ঠিক করেন পরিচালক। আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল গানের দৃশ্য দিয়ে শুরু হবে শুটিং। অপেশাদারি আচরণ আমি নই, সায়ন্তিকা করেছেন। চুক্তির বাইরে আমরা তাকে ৫০ হাজার রুপি দিয়েছি পোশাকের জন্য। অথচ তিনি কোনো পোশাক নিয়ে আসেননি। এরপর আবার ড্রেসম্যান মনিরকে দিয়ে পোশাকের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সেই পোশাকগুলোও সায়ন্তিকা ফেরত দিয়ে যাননি।’


আরও পড়ুন- Pori Moni-Sariful razz Divorce: ‘এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছি’, পরীমণির পাঠানো ডিভোর্সের চিঠি পেয়ে মুখ খুললেন রাজ


তিনি আরও বলেন, ‘মাইকেলের ডিরেকশনে গানের শুটিং করার সময় ড্রেস পরিবর্তন করার জন্য বেলা ২টায় হোটেলে যান নায়ক-নায়িকা। ফিরে আসেন সন্ধ্যা ৬টায়। ড্রেস চেঞ্জ করতে চার ঘণ্টা সময় লাগে, এমনটি কখনো দেখিনি। এ ছাড়া যেদিন আমরা শুটিং প্যাকআপ করে পুরো ইউনিট নিয়ে চলে আসি, সেদিন নায়ক-নায়িকা হোটেলেই থেকে যান। ওই দিন তারা সেখানে কী করছিলেন? এ প্রশ্নের জবাব তারা কী দেবেন? এ কথাগুলো কখনো সামনে আনতে চাইনি। কিন্তু এখন আর চুপ করে থাকতে পারলাম না।’


এই অভিযোগের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সায়ন্তিকা বলেন, ‘কে আমাকে নিয়ে কী বলছে, তা নিয়ে আমি সত্যিই ভাবিত নই। কোনও সাফাই দেওয়ারও প্রয়োজন মনে করি না কারণ আমি জানি সত্যিটা কী। আর নায়ক-নায়িকা যদি ঘণ্টার পর ঘণ্টাও বসে থাকে, সমস্যা কোথায়?’



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)