Seema Khan : বিয়ে ভাঙায় `খান` পদবী ফেলে দিয়েছেন সীমা, মায়ের সিদ্ধান্তে মন খারাপ ছেলের
গত ৫ বছর ধরেই আলাদা থাকছিলেন, তবে সম্প্রতি আইনত ভেঙে গিয়েছে ২৪ বছরের দাম্পত্য। বিয়ে ভাঙার পর নিজের ফ্ল্যাটের নেমপ্লেট থেকে খান পদবী সরিয়ে দিয়েছেন সীমা। এই মুহূর্তে ফ্ল্য়াটের মূল দরজায় লেখা `সীমা, নির্বাণ, ইউহান`। সোহেল খানের নাম তো স্বাভাবিকভাবেই নেই, এমনকি কারোর নামের সঙ্গেই খান পদবী লাগানো নেই। আর তাতেই নাকি সম্মতি ছিল না সোহেল-সীমার বড় ছেলে নির্বাণের। যদিও খান পদবী বাদ দেওয়া নিয়ে নির্বাণ যখন প্রশ্ন তুলেছিল, তখনও আইনত সোহেলের সঙ্গে সীমা বিচ্ছিন্ন হননি। সম্প্রতি, `ফ্যাবিউলাস লাইভস অফ বলিউড ওয়াইভস`-এ উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গই।
Seema Sajdeh Khan, Fabulous Lives of Bollywood Wives , জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : গত ৫ বছর ধরেই আলাদা থাকছিলেন, তবে সম্প্রতি আইনত ভেঙে গিয়েছে ২৪ বছরের দাম্পত্য। বিয়ে ভাঙার পর নিজের ফ্ল্যাটের নেমপ্লেট থেকে খান পদবী সরিয়ে দিয়েছেন সীমা। এই মুহূর্তে ফ্ল্য়াটের মূল দরজায় লেখা 'সীমা, নির্বাণ, ইউহান'। সোহেল খানের নাম তো স্বাভাবিকভাবেই নেই, এমনকি কারোর নামের সঙ্গেই খান পদবী লাগানো নেই। আর তাতেই নাকি সম্মতি ছিল না সোহেল-সীমার বড় ছেলে নির্বাণের। যদিও খান পদবী বাদ দেওয়া নিয়ে নির্বাণ যখন প্রশ্ন তুলেছিল, তখনও আইনত সোহেলের সঙ্গে সীমা বিচ্ছিন্ন হননি। সম্প্রতি, 'ফ্যাবিউলাস লাইভস অফ বলিউড ওয়াইভস'-এ উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গই।
নির্বাণের কথায়, 'আমাদের ৪ জনের পরিবার। পদবী বাদ দেওয়ার অর্থ একজন মানুষকে বাদ দিয়ে দেওয়া। আমার মনে হয় এটা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। এটার কোনও প্রয়োজনই ছিল না। সমস্যা কোথায়? দিনের শেষে তুমিও খান আমরাও খান।' উত্তরে ছেলেকে সীমা জানিয়েছিলেন, তিনি আর বেশিদিন খান থাকবেন না। যদিও মায়ের কাছে ছেলের অনুরোধ ছিল 'খান' এবং 'সচদেব' দুটো পদবীই রাখতে। সেক্ষেত্রে সীমা ছেলেকে পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন, 'এটা কীভাবে করতে পারি নির্বাণ?' সীমার কথায়, এই কারণেই নেমপ্লেট থেকে কোনও পদবী না রেখে শুধু তিনজনের নাম রাখা হয়েছে। যদিও সীমা নির্বাণকে বলেন, এর অর্থ এই নয় যে আমরা এক পরিবার নই। তবে আমি আমার নিজের পায়ে দাঁড়িয়েই এবার এগোতে চাই।
আরও পড়ুন-'আমার মহিলাদের পছন্দ', সোহেলের সঙ্গে ২২ বছরের বিয়ে ভাঙার পর মন্তব্য সীমার
আরও পড়ুন-অন্তঃসত্ত্বা বিপাশার চোখে মায়াবী দীপ্তি, 'গ্রিক দেবীর মতো দেখাচ্ছে', বলছেন নেটনাগরিকরা
সীমার নির্বাণকে কথায়, 'আমি এখন এদিক ওদিন কোনও দিকেই নেই। তোমাদের নামের শেষে যে পদবী আছে, সেটা আমার নেই। আমি তাই পদবী বিষয়টাই আমার পছন্দ নয়। ' প্রসঙ্গত, ফ্যাবিউলাস লাইভস অফ বলিউড ওয়াইভস'-এ বন্ধু মেহদীপ কাপুরের সঙ্গে নিজের বিয়ে বিয়ে ভাঙা নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় সীমাকে। তাঁর কথায়, 'আমি যখন বিয়ে করি, তখন ভেবেছিলাম এটা সারা জীবনের জন্য। আসলে এই ভাবনা নিয়ে আমি বড় হয়েছি। তবে এখন মনে হয় অভিভাবক হিসাবে সুখী হওয়াটা বেশি প্রয়োজনীয়। সোহেল আমার দুই সন্তানের বাবা, এটা কেউ বদলাতে পারবে না। এই সম্পর্কগুলোও বদলানো যায় না। তবে আমার মাঝে মাঝে আপসোস হচ্ছে আমার আমার সন্তানদের থেকে পরিবার কেড়ে নিয়েছি। সেটা নিয়ে নিজের মধ্যে একটা অপরাধবোধ কাজ করে।'