নিজস্ব প্রতিবেদন: শুটিং ফ্রম হোম, নাকি শুটিং ফ্রম হোটেল! ফেডারেশনের মতে, লুকিয়ে চুরিয়ে শুটিং চলছেই। কয়েকদিন আগে ফেডারেশনের তরফ থেকেই জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের হাতে এসেছিল বেশ কিছু শুটিং ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছিল, ইনডোরে ৪-৫ জন একসঙ্গে শুটিং করছেন। এবার  জি ২৪ ঘণ্টার কাছে উঠে এল সেই ছবি। দুদিন আগে ফেডারেশনের অন্তর্তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সূত্র ধরে প্রমাণ সহ খবর আসতে শুরু করে। শুক্রবার সকালেও কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের একটি বাড়িতে শুটিং চলছিল। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা স্পটে পৌঁছলে তাঁদের খবর সম্প্রচারে বাধা দেওয়া হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


অন্যদিকে ফেডারেশনের আরও অভিযোগ, পছন্দের টেকনিশিয়ানদের নিয়েই শুটিং করছেন প্রযোজকেরা। 'শুট ফ্রম হোম' নিয়ে বিতর্ক চলছেই। এবার WATP-সূত্রে উঠে এল এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। বাড়ি থেকে ধারাবাহিকের শুটিং করায় কলাকুশলীরা অংশগ্রহণ করলে তাঁদের সদস্যপদ বাতিল হবে বা তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমন ধমক দিচ্ছে ফেডারেশন, অভিযোগ WATP-র। প্রযোজক গিল্ডের অভিযোগ, কলাকুশলীদের ভুল বুঝিয়ে তাঁদের সঙ্গে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে ফেডারেশন। কলাকুশলীদের কাজ হারানোর ভয় দেখানো হচ্ছে। এও বলা হচ্ছে যে বিধি নিষেধ উঠে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত গেলেও এই প্রক্রিয়ায় শুটিং করা হবে। যদিও ফেডারেশনের মতে বিধিনিষেধ চলাকালীন শুটিং করা সবচেয়ে বড় অপরাধ, বাড়ি থেকে শুটিং করা মানে কোনওভাবেই হোটেলে একসঙ্গে নায়ক নায়িকার শুটিং করা নয় তাও আবার দূরত্ব বজায় না রেখে। 



অন্যদিকে শুক্রবার কাঁকিনাড়ার পানপুর অঞ্চলে রয়্যাল অর্কিড রিসর্টে চলছিল শুটিং, শুট ফ্রম হোম তো দূরের কথা, লাইট, ক্যামেরা নিয়ে শুটিং করা হচ্ছিল। গোপন সূত্রের খবর সেখানে চলছিল ফেলনা সিরিয়ালের শুটিং। করোনা আবহে শুটিং বন্ধ, সেই অবস্থায় ক্যামেরা, লাই়ট নিয়ে রিসর্ট শুটিংয়ের অনুমতি দিল কী করে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।