Sidharth Malhotra-Kiara Advani: `সিদ্ধার্থ মালহোত্রাকে কালা জাদু করে মেরে ফেলছে কিয়ারা!`
Sidharth Malhotra-Kiara Advani: বড় প্রতারণার ফাঁদে পড়লেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা এক অনুরাগী। সেই ফ্যানের দাবি, দুই প্রতারক তাঁকে জানিয়েছিল যে, বড় বিপদের মধ্যে পড়েছেন সিদ্ধার্থ। শুধু তাই নয়, অবাক করা বিষয় হল, ভুক্তভোগীকে বিশ্বাস করানো হয়েছিল যে, স্ত্রী কিয়ারা আডবানী কারণেই বিপদের মুখে অভিনেতা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বড় প্রতারণার ফাঁদে পড়লেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা এক অনুরাগী। সেই ফ্যানের দাবি, অভিনেতার একটি ফ্যান পেজ দ্বারা তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। মিনু বাসুদেব নামে ওই ফ্যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। তিনি দাবি করেছেন, দুই ব্যক্তি - আলিজা এবং হুসনা পারভিন দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন। ওই দুই প্রতারক তাঁকে জানিয়েছিল যে, বড় বিপদের মধ্যে পড়েছেন সিদ্ধার্থ। শুধু তাই নয়, অবাক করা বিষয় হল, ভুক্তভোগীকে বিশ্বাস করানো হয়েছিল যে, স্ত্রী কিয়ারা আডবানী কারণেই বিপদের মুখে অভিনেতা।
মিনু এই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জনসমক্ষে এনেছেন। এবং প্রতারকদের সঙ্গে করা চ্যাটগুলিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে @desi_girl334 নামের এক ব্যবহারকারী টুইটের সিরিজের মাধ্যমে তাঁর অভিযোগগুলি তুলে ধরেছেন। তিনি লেখেন, 'প্রিয় @sidmalhotra এবং সকল সিডিয়ানস। আমার নাম মিনু বাসুদেবন। আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। আলিজা এবং হুসনা পারভিন নামের দুজনের সম্পর্কে একটি গুরুতর ঘটনা সকলের জানা উচিত। তারা কাছ থেকে ৫০লাখ টাকা প্রতারণা করেছে।'
মিনু আরও একটি ট্যুইটে জানায় যে, 'আলিজা আমাকে ভুঁয়ো গল্প বলেছিল, কিয়ারার কারণে সিডের জীবন হুমকির মধ্যে ছিল। শেরশাহ করার সময় কিয়ারা সিদ্ধার্থকে তাঁর পরিবারকে মারা হুমকি দেয়। এবং জোর করে বিয়ে করেন। এছাড়াও, সে তাঁকে শারীরিক, যৌন শোষণ করেছে, এবং গুণ্ডাদের দিয়ে আর্থিকভাবে শোষণ করেছে। করণ জোহর, শশাঙ্ক খৈতান, অপূর্ব মেহতা এবং মনীশ মালহোত্রা ছাড়াও, তিনি তাদের এবং তাঁর অন্যান্য সহ-অভিনেতাদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছিলেন এবং সিদ্ধার্থের উপর কালো জাদু করেছিলেন।'
ওই ফ্যান আরও দাবি, তাঁকে জানানো হয়েছে যে, কিয়ারা এবং ধর্ম প্রোডাকশনের ক্রুরা সিদ্ধার্থের সমস্ত ব্যাংকের পাসওয়ার্ড এবং চেক বই সই করিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে। আলিজা তাঁর থেকে সাহায্য চেয়ে বলে যে, সিডকে বাঁচাও। আলিজা আমাকে সিডের নকল পিআর দলের সদস্য, দীপক দুবে-এর সঙ্গে পরিচয় করায়। এখানেই শেষ নয়, কিয়ারার টিমে থাকা রাধিকা নামের কারও সঙ্গেও নাকি কথা বলেন মিনু, যে ভিতরের খবর সরবারহ করত বাইরে।
মিনু আরও ট্যুইট করেছেন, 'আমি তাদের প্রত্যেক সপ্তাহে টাকা পাঠাতাম। সিদ্ধার্থের খোঁজ নিতাম। এছাড়াও আমি সিডের জন্য তিনটি গিফট হ্যামপার কিনেছিলাম। এইসব করে আমি ৫০ লক্ষ টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছি।'
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)