Soham Chakraborty: ‘আমি TMC-র বিধায়ক তাই সেন্সর বোর্ডের কোপে LSD’, বিস্ফোরক অভিযোগ সোহমের
Soham-Saayoni: `জানতে পেরেছি, সেন্ট্রাল থেকে বার্তা এসেছিল যে এটা তৃণমূলের বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর ছবি, তাই ছবিটা আপাতত আটকে দেওয়া হোক। গতকাল সন্ধে অবধি দেখাচ্ছিল সার্টিফিকেট ইস্যু হয়নি। তবে আপাতত ১০ মিনিট আগে(১২.৩০ মিনিট নাগাদ) আমরা সার্টিফিকেট হাতে পেয়েছি। ইচ্ছা করে এই যে লেটটা কেন করানো হল?` প্রশ্ন সোহমের
Soham Chakraborty, Saayoni Ghosh, সৌমিতা মুখোপাধ্যায়: মুক্তির একদিন আগে বিপাকে সোহম চক্রবর্তী প্রযোজিত ও সায়ন্তন ঘোষাল পরিচালিত ছবি ‘এলএসডি, লাল স্যুটকেসটা দেখেছেন?’। শুক্রবার মুক্তি পাওয়ার কথা এই ছবি, কিন্তু বুধবার বিকেল অবধি এই ছবিকে সেন্সর সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি আর সেই কারণেই ঘোষণা করা হয় যে, নির্ধারিত দিনে ছবিটি মুক্তি পাবে না। তবে সোহম চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান যে, আপাতত শুক্রবারই মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি। তবে ছবির সেন্সর নিয়ে অহেতুক সমস্যা তৈরি করেছিল সেন্সর বোর্ড। সোহমের দাবি, তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণেই এই সমস্যা তৈরি হয়।
বৃহস্পতিবার সাত সকালে সোহমের প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়, ‘অত্যন্ত ক্ষোভ এবং ধিক্কারের সঙ্গে সোহম এন্টারটেইনমেন্ট ও টিম LSD (লাল সুটকেস টা দেখেছেন)-র পক্ষ থেকে আমরা জানাচ্ছি যে সেন্সর সার্টিফিকেট না পাওয়ার জন্য নির্ধারিত দিন অর্থাৎ আগামী কাল শুভ মুক্তি হচ্ছে না ছবির। দীর্ঘদিন আগেই ছবিটি সেন্সর কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হলে, কর্তৃপক্ষের তরফে প্রথমে আমাদের ছবি থেকে সাত থেকে আটটি সংলাপ বদলের কথা বলা হয়, সঙ্গে এও জানানো হয় ছবির টাইটেল ট্র্যাকে এমন কিছু শব্দ রয়েছে যা ব্যবহার করা যাবে না। যদিও ইউটিউবে আমাদের টাইটেল ট্র্যাক সকলে দেখেছেন, এবং আমরা হলপ করে বলতে পারি এই টাইটেল ট্র্যাকে এমন কোনো শব্দ নেই যা সেন্সর করার প্রয়োজনীয়তা ছিল। তা সত্ত্বেও তাদের নির্দেশ অনুযায়ী আগেই সম্পূর্ণ পরিবর্তন গুলি করে আমরা ছবির সেন্সর সার্টিফিকেট এর জন্য আবারও আপিল করেছি, কিন্তু ছবির সেন্সর সার্টিফিকেট না দিয়ে এখন ছবিটির নির্মমভাবে কণ্ঠ রোধ করতে চাইছেন তারা। সিনেমার প্রতি এই নির্মমতা কেন? সেন্সরশিপের নামে, একটি প্রচেষ্টাকে এমন করে নস্যাৎ করে ফেলার পরিকল্পনা কোন উদ্দেশ্যে?’ এমনকী এই ঘটনার প্রতিবাদে একটি সাংবাদিক বৈঠকও সোহম চক্রবর্তী, সায়নী ঘোষ, ছবির পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল সহ ছবির অন্যান্য কলাকুশলীরা।
আরও পড়ুন- Dev As Byomkesh| Rana Sarkar: ‘আঁতেলরা হাহাকার করুক, বাঙালি দর্শক দেবের ব্যোমকেশ দেখবেই’
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের তরফ থেকে সোহম চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগের সুরে তিনি বলেন, “এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে সিনেমার গায়ে এভাবে রাজনৈতিক রং লাগানো হচ্ছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি অরাজনৈতিক, আমরা মনে প্রাণে তা মনে করি। কিন্তু সেন্ট্রালের তরফ থেকে এটাকে বারংবার রাজনৈতিক করে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেন্সর বোর্ডের এক সদস্য বলেন, ‘রাধে রাধে’, ‘কৃষ্ণ করলে লীলা আমরা করলে বিলা’,’এলএসডি’ বলা যাবে না। একটা গান রিলিজ করেছে, সেখানে দুটো শব্দ আছে ’হ্যালুসিনেশন’,’ওভারডোজ’ সেগুলো ব্যবহার করা যাবে না। আমাদের তরফ থেকে বারংবার বোঝানোর চেষ্টা করেছে যে, আমরা তো ড্রাগকে প্রোমোট করছি না। বরং এই ছবির মাধ্যমে অ্যান্টি ড্রাগস ক্যাম্পেন করা হচ্ছে। তখন ঐ সদস্য বলে আমি কোনও ইন্ডাস্ট্রির ঠেকা নিইনি। এখানে আমার একটাই প্রশ্ন, যাঁর ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কোনও দায়বদ্ধতা নেই তাহলে তাঁকে সেই জায়গায় কেন বসিয়ে রাখা হয়েছে যিনি পদটার অসম্মান করছেন। এমনকী জানতে পেরেছি, সেন্ট্রাল থেকে বার্তা এসেছিল যে এটা তৃণমূলের বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর ছবি, তাই ছবিটা আপাতত আটকে দেওয়া হোক। গতকাল সন্ধে অবধি দেখাচ্ছিল সার্টিফিকেট ইস্যু হয়নি। তবে আপাতত ১০ মিনিট আগে(১২.৩০ মিনিট নাগাদ) আমরা সার্টিফিকেট হাতে পেয়েছি। ইচ্ছা করে এই যে লেটটা কেন করানো হল? সার্টিফিকেটে এ দেওয়া হয়েছে। আমি এবার দর্শকের উপরেই ছেড়ে দিই যে, দর্শক এটা দেখুক আর বলুক যে এটায় কী এমন শব্দ আছে যা ড্রাগকে প্রমোট করা বোঝায়। এটার জন্য পুরো রিলিজটা গন্ডগোল হয়ে গেল। নন্দন এই ছবিটা দেখে নেবে বলেছিল কিন্তু সার্টিফিকেট পেতে দেরি হওয়ায় নন্দন হাতছাড়া হয়ে গেল। বেশ কয়েকটা হলের সঙ্গে রিলিজটা পিছিয়ে দিতে হস। প্রথম সপ্তাহে ছবিটা যে ব্যবসা করতে পারত, সেটায় নিঃসন্দেহে বড় প্রভাব পড়ল আর এটা ইচ্ছাকৃত করা হল”।