নিজস্ব প্রতিবেদন: নেটফ্লিক্সে দেখা যাচ্ছে 'রেনবো জেলি'। আর এই ছবির জন্য পারিশ্রমিক ও নাম উল্লেখ নিয়ে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের সঙ্গে পরিচালকের বাক-বিতণ্ডা এবার প্রকাশ্যে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি, নেটফ্লিক্সে থাকা 'রেনবো জেলি'র স্ক্রিনশট নিয়ে শ্রীলেখা মিত্র নিজের ফেসবুকে একটি লম্বা পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ছবিতে 'পরিপিসি' চরিত্রটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। তবে তা সত্ত্বেও অ্যাপে তাঁর নাম উল্লেখ নেই। যেটি পরিচালক আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্ত তাঁর নজরে এনেছেন বলেও লেখেন। এনিয়ে পরিচালক, প্রযোজকের নাম না করলেও তিনি যে তাঁদের কাছেই যে জবাবদিহি চেয়েছেন, তা তাঁর পোস্টে স্পষ্ট।



অন্যদিকে ফেসবুকে সৌকর্য ঘোষাল জবাব দেন, ''নেটফ্লিক্সের লিস্টে তাঁর নাম না থাকার বিষয়টি সত্যি নয়। এটা অ্যাপের ফরম্যাটের কারণেই প্রথম তিনটি নাম দেখা যাচ্ছে। এর এটি অভিনেত্রীও জানেন।'' নিজের পোস্টের সঙ্গে নেটফ্লিক্সের আরও একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন পরিচালক। সেখানে প্রত্যেকের নামের সঙ্গে শ্রীলেখা মিত্রের নামও স্পষ্ট।



সোশ্যাল মিডিয়ায় চলা শ্রীলেখা মিত্র ও সৌকর্যের মধ্যে এই বচসায় অনেকেই বিভিন্ন মন্তব্যও করেছেন। আর এবিষয়ে Zee 24 ঘণ্টা ডট কমের তরফে শ্রীলেখা মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ''ঘটনাটা আমি আগে থেকেই জানি। তবে প্রথমে আমি গুরুত্ব দিই নি। কারণ, তার আগেই পরিচালক ও তাঁর প্রযোজক স্ত্রীর সম্পর্কে আমার ধারণা বদলে গিয়েছে। তবে আমাকে একজন একটা পোস্ট ট্যাগ করে, তখন আমি মুখ খুলি। যদিও আমি ফেসবুক পোস্টে কারোর নাম উল্লেখ করিনি। আমার মনে হয় তিনটের বেশি নাম দেওয়া যায় না বলেই চতুর্থতে ওঁরা আমার নাম দিয়েছে। এখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকা বাচ্চা ছেলেটির নাম দিয়েছে ঠিক আছে। বাচ্চা মেয়েটি যে ছিল তার নাম আমার আগে দেওয়ার কারণ আমি বুঝি নি। কৌশিক সেনের নামও থাকলো, অথচ ওখানে আমার নামটা কেন নয়? গল্পটা তো পরিপিসি আর ওই শিশুটিকে নিয়ে। এই নামগুলি পরিচালক, প্রযোজকের তরফেই যায়। ফোন অ্যাপে আমার নাম দেখা যাচ্ছে না। এটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে দেখলে তখন চতুর্থ নামে আমার নাম দেখা যাচ্ছে। এবিষয়ে নেটফ্লিক্সের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। আর এই ছবিটার জন্য আমি অনেককিছু করেছি। সেটা সময় আসলে আমি বলবো।''


শ্রীলেখা মিত্রর আরও অভিযোগ, ''আমি রেনবো জেলির আগেও ওর সঙ্গে কাজ করেছি। ওই আগের ছবির পারিশ্রমিকেই রেনবো জেলিতে কাজ করবো কথা হয়েছিল। কিন্তু সেই টাকাটাও আমি যখন চেয়েছিলাম, ও আমায় বলেছিল কীসের টাকা? ছবির হিট হলে তবে টাকা দেব। টাকা যদিও বা দিয়েছিল তাও কম। কিন্তু নাম নেই। এমন অনেক জায়গায় শ্যুটিং আমি করিয়ে দিয়েছি, যেখানে ওকে টাকা দিতে হয়নি। আর কত বলবো?''


অন্যদিকে, এই একই বিষয় নিয়ে পরিচালক সৌকর্য ঘোষালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ''দেখো আমি একটাই কথা বলবো। কিন্তু ওঁর বয়ান বদলে যাচ্ছে। উনি প্রথম অভিযোগ করেছিলেন ওঁর নাম নেই। তারপর আমি স্ক্রিনশট দিলাম, তাতে ওঁর নাম স্পষ্ট। তার উত্তর এখনও আমায় দেয়নি। আর ওনি যে আদিত্য বিক্রমের কথা বলছেন, তাঁর যে ছবি জোনাকি, সেটা অ্যাপে ক্লিক করে দেখলে, প্রথম তিনজনের মধ্যে নায়কের নাম নেই। এখানে তো শ্রীলেখা দি নায়ক নন, তবে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। নেটফ্লিক্সের অ্যাপের সিস্টেমটাই এমন যে তিনজনের নামই থাকে। যেমন দিল চাহতা হ্যায়, মাসান, অনেক ছবিরই গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতাদের নাম প্রথম তিনজনের মধ্যে দেখা যায় না। আর এরপর উনি যে বলছেন যথেষ্ট পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি। আমি তাই বলেছি, উনি যদি বলেন, আমি জিএসটি বিলও দেখিয়ে দিতে পারি। আমি যখন ওনার অভিযোগের উত্তর দিচ্ছি, উনি তো তাঁর জবাব দিচ্ছেন না। আর উনি যে বলছেন, নাম বাদ দেওয়া নিয়ে নেটফ্লিক্সের কেউ ওনাকে জানিয়েছেন। তাহলে সেবিষয়টিও তো ওনাকে সামনে আনতে হয়। ''