জন্মদিনে এ আর রহমান, সুরের জাদুকর সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানা আছে?
এ আর রহমানের সুরের ভক্ত নয়, এরকম খুব কমই আছেনএ। তবে সুর সম্রাটের জীবনের এই তথ্যগুলি হয়ত রহমানে অনেক অনুরাগীরই অজানা
নিজস্ব প্রতিবেদন : সুরের জাদুকর তিনি। তাঁর ছোঁয়ায় নতুন প্রাণ পায় সপ্ত সুর। তামিল থেকে শুরু করে হিন্দি গান সর্বত্রই তাঁর অবাধ বিচরণ। পাঞ্জাবি, সুফি, পপ থেকে শুরু করে তাঁর কম্পোজিশনে মিলেছে বাংলা বাউল সুরের ছোঁয়াও। ভারতীয় সঙ্গীতের দুনিয়ায় তিনি এক অপার বিষ্ময়। আজ ৬ জানুয়ারি, শনিবার ৫১য় রাখলেন সুরের জাদুকর এ আর রহমান।
এ আর রহমানের সুরের ভক্ত নয়, এরকম খুব কমই আছেনএ। তবে সুর সম্রাটের জীবনের এই তথ্যগুলি হয়ত রহমানে অনেক অনুরাগীরই অজানা...
১৯৬৭ সালে ৬ জানুয়ারি এ আর রহমানের জন্ম হয়েছিল চেন্নাইয়ের এক শৈব হিন্দু পরিবারে। রহমানের বাবা সুরকার আর কে শেখর তাঁর নাম রেখেছিলেন আর এস দীলিপ কুমার। ১৯৮৮ সালে তাঁর বয়স যখন ২১ সেসময় তাঁর বোন কঠিন অসুখে আক্রান্ত হন। জানা যায়, সেসময় আবদুল কাদের জিলানি নামে এক মুসলিম পীরের দুয়ায় নাকি তাঁর বোন আশ্বর্যজনক ভাবে সুস্থ হয়ে যায়। আর এরপরই রহমানে গোটা পরিবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। এস দীলিপ কুমার-এর নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় আল্লা রাখা রহমান।
১৯৯২ সালে মণিরত্নম পরিচালিত এক কফির বিজ্ঞাপনে জিঙ্গলস গেয়ে তাক লাগিয়ে দেন। আর এরপরই তিনি মণিরত্নমের তামিল ফিল্ম 'রোজা'য় প্রথম সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে কাজের সুযোগ পান।পারিশ্রমিক হিসাবে পান ২৫হাজার টাকা।
শিশু শিল্পী হিসাবে দুরদর্শন- 'ওয়ান্ডার বেলুন' শোতে দেখা গিয়েছিলেন রহমানকে। যিনি একসঙ্গে ৪টি কী বোর্ড বাজিয়ে জনপ্রিয় হয়েছিলেন।
সুরকার নয়, রহমান কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়র হতে চেয়েছিলেন।
এ আর রহমান ও তাঁর ছেলে আমিন এর (৬ জানুয়ারি) একই দিনে জন্মদিন।
রহমানের অস্কার জয়ী 'জয় হো' গানটি আদপে সলমান খানের 'যুবরাজ' ফিল্মের জন্য তৈরি হয়েছিল।
কিশোর বয়সে রহমানের বাজানো কী বোর্ড-টি এখনও চেন্নাইয়ে তাঁর স্টুডিওতে সাজানো রয়েছে।
২০১৪ সালে তিনি ৪টি জাতীয় পুরস্কার, ১৫টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছিলেন। সেবছর ১৩৮টি নমিনেশনের মধ্যে ১১৭টিতেই পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন রহমান।
গোটা এশিয়া মহাদেশের মধ্যে তিনিই প্রথম একই বছর দু'টি অস্কার জিতেছিলেন।
এ আর রহমানের নামে কানাডার মরখমে একটি রাস্তাও রয়েছে।
আজ, শনিবার সুর সম্রাট এ আর রহমানের ৫১ তম জন্মদিনের ২৪ ঘণ্টার তরফে রইল অনেক শুভেচ্ছা।