নিজস্ব প্রতিবেদন:  কিংবন্তী শিল্পী রুমা গুহ ঠাকুরতা আর নেই। সোমবার সকালে এই দুঃসংবাদটা এসেছিল আচমকাই। শিল্পী মহলের কাছে তো বটেই। তাঁর পরিবারের কাছেও। কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে, কোনও কষ্ঠ না দিয়েই তিনি চলে গেলেন বলে Zee ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে জানান ছেলে অয়ন গুহ ঠাকুরতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অয়ন বাবুকে ফোন করা হলে তিনি জানান, '' রাতে ঘুমের মধ্যেই চলে যান। আমরা সকালবেলা ঘুম ভেঙে উঠে দেখি গা ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছে। তারপর ডাক্তার আসেন, আমার এক তুতো ভাই আছেন অভিষেক গুহ ঠাকুরতা উনিই চিকিৎসক। অভিষেক এসে দেখে পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখে বললেন উনি আর নেই। কোনও কষ্ট পাননি। শান্তিপূর্ণভাবেই চলে গেলেন।''



বন্ধু তথা সহ অভিনেত্রী রুমা গুহ ঠাকুরতার মৃত্যুতে শোকাহত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ও। অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি Zee ২৪ ঘণ্টাকে জানান, '' আমি শোকাহত, মর্মাহত। আমরা দীর্ঘদিনের বন্ধু, প্রায় ৬০ বছরের বন্ধুত্ব। যখন থেকে আমি সিনেমায় এসেছি, তখন থেকে। মানিকদার (সম্পর্কে সত্যজিৎ রায় ছিলেন রুমা গুহ ঠাকুরতার মামা) আত্মীয়া তো, ওদের বাড়ি প্রায়ই যেতাম। অরূপ (রুমা গুহ ঠাকুরতার দ্বিতীয় স্বামী অরূপ গুহ ঠাকুরতা) ছিল আমাদের বন্ধু ছিল। আমরা তার গুণমুগ্ধ ছিলাম, অসামান্য গান করতো, অভিনয় করতো। আমরা একসঙ্গে কত ছবি করেছি। 'অভিযান'-এর কথা খুব মনে পড়ছে। 'বাঘিনী' , 'গণশত্রু'র, বহু ছবির কথাই মনে পড়ে। খুবই কষ্ট হচ্ছে, কী বলব... (থেমে গিয়ে), আর কিছু বলতে পারছি না, অনেক কথাই মনে পড়ছে। কষ্ট হচ্ছে। ''



অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়কে Zee ২৪ ঘণ্টার তরফে ফোন করা হলে তিনিও স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লেন। বললেন, '' অনেক স্মৃতিই তো আছে। আমরা একসঙ্গে ছবি করেছিলাম, 'চৌধুরী পরিবার' সেই ছবির শ্যুটিংয়ের সময় আমরা একসঙ্গে থাকতাম, একসঙ্গেই খাওয়াদাওয়া সবকিছুই। সেখানকার অনেক স্মৃতিই তো মনে রয়েছে। এছাড়াও আরও অনেক স্মৃতিই রয়েছে রুমাদির সঙ্গে। খুব খারাপ লাগছে মনটা। বুঝতে পারছি না আমি যে ঠিক কী বলবো...মাঝে অনেকদিন রুমাদির সঙ্গে আমার দেখা সাক্ষাৎ হয়নি। উনি বোম্বে চলে গিয়েছিলেন। তবুও একটা মানুষ আছে এটাই বড় কথা ছিল। আর আজ উনি যে নেই, সেকথা ভাবতেই পারছি না। খুব খারাপ লাগছে।''



শুধু সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায়ই নয়, রুমা গুহ ঠাকুরতার প্রয়াণ শোকাহত চলচ্চিত্র জগৎ থেকে শুরু করে বাংলা সঙ্গীত জগৎ।