Srabanti Chatterjee: বন্যপ্রাণ আইনে জেরার মুখে শ্রাবন্তী, দোষ প্রমাণিত হলে ৩ থেকে ৭ বছরের জেল
গলায় শিকল পরিয়ে একটি বেজির সঙ্গে সেলফি তুলেই আইনি জালে জড়িয়েছে অভিনেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায়(Social Media) সেই ছবি পোস্ট করেছিলেন নায়িকা নিজেই। সেখান থেকেই শুরু বিপত্তি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বন্যপ্রাণ আইনের আওতায় বিপাকে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়(Srabanti Chatterjee)। গলায় শিকল পরিয়ে একটি বেজির সঙ্গে সেলফি তুলেই আইনি জালে জড়িয়েছে অভিনেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায়(Social Media) সেই ছবি পোস্ট করেছিলেন নায়িকা নিজেই। সেখান থেকেই শুরু বিপত্তি। ১৫ জানুয়ারি তাঁকে সমন পাঠিয়েছিল ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল(Wildlife Crime Control Cell)। সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেলের দফতরে। কিন্তু তার বদলে শ্রাবন্তী প্রথমে হাজির হন অরন্য ভবনে। তারপর সেখান থেকে তিনি পৌঁছান নির্দিষ্ট অফিসে।
সোমবারে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়নি তাই ফের মঙ্গলবার তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। এদিন শ্রাবন্তীর পাশাপাশি ডেকে পাঠানো হয় তাঁর মেকআপ আর্টিস্ট সহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে। শ্রাবন্তীকে এদিন প্রশ্ন করা হয়, কোথায় এই বেজিটি তিনি পেলেন, কোথায় বেজিটি শিকল দিয়ে বাঁধা ছিল? তিনি উত্তরে বলেন,'আমি শুটিং করছিলাম। কারোর একটা বেজি ছিল। আমি দেখে আদর করি। যাঁর বেজি সেও এসেছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আবার ডাকলে আসব'। বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী বেজি শিডিউল ২-এর অন্তর্ভুক্ত। যদি দোষ প্রমাণিত হয় তাহলে তিন থেকে সাত বছরের জেলও হতে পারে অভিনেতার।
১৫ ই জানুয়ারি প্রাণীর গলায় শিকল বাধা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। সেই পোস্ট নজরে আসতেই ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ তাঁকে সমন পাঠানো হয়। সমন পাঠায় ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল। দ্রুত সেলের অফিসে এসে তাঁকে দেখা করতে বলা হয়। তখন কয়েকদিন সময় চান শ্রাবন্তী। এরপরই সোমবার ও মঙ্গলবার হাজিরা দেন শ্রাবন্তী।