জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে উৎসব আর সেই উৎসবের আওয়াজেই বাড়িতে টিকতে পারছেন না শ্রীজাত। তাঁর দাবি ছিল, ‘টানা এক সপ্তাহ, সকাল ১১টা থেকে রাত ১২টা এই অসহ শব্দতাণ্ডব চলছে, তাদের ওপেন এয়ার থিয়েটারে।’ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই অভিযোগ করেন কবি। যদিও শ্রীজাতের পোস্টের পরেই তা নিয়ে শুরু হয় হাসি ঠাট্টা। এমনকী সেলিমপুরে বসে কী করে তিনি যাদবপুর OAT-র এত তীব্র আওয়াজ পাচ্ছেন তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তবে রবিবার সকালেই ফের আরেকটি পোস্টে যাদবপুর বিশ্বাবিদ্যালয়েক ছাত্রছাত্রী ও আয়োজকদের ধন্যবাদ জানালেন শ্রীজাত পাশাপাশি একহাত নিলেন ট্রোলারদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- Srabanti: ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ, আমি নিজেই প্রতারণার শিকার’, জিমকাণ্ডে বিস্ফোরক শ্রাবন্তী...


রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রীজাত লেখেন, ‘অভিযোগে কাজ হয়েছে। গতকাল থেকে শব্দ প্রক্ষেপণের মাত্রা অনেকটাই কম এবং সহনীয়। আমার আগের পোস্টে যাঁরা ঠাট্টা তামাশা করছিলেন, তাঁদের হয়তো এ-কথা জেনে একটু খারাপই লাগবে যে, খোদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বা JUTA এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে, যেমন করেছেন অসংখ্য কর্মী ও পড়ুয়ারা। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগও কিছু কম জমা পড়েনি। অবশেষে উৎসবের শব্দ প্রক্ষেপণকে নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা হয়েছে, সেই বাবদ ছাত্রছাত্রী ও উৎসব আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। এক নাগরিকের সত্যিকার অসুবিধে অন্যান্য নাগরিকের হাসিঠাট্টা ও ট্রোলের উপকরণ হয়ে ওঠে, এ যেমন দুর্ভাগ্যজনক (অবশ্যই যাঁরা হাসিঠাট্টা করছেন, তাঁদের দুর্ভাগ্য), তেমনই অভিযোগের ভিত্তিতে সুরাহা ও প্রতিকার হয় আজও, এও কম আশাব্যঞ্জক নয়।’


আরও পড়ুন- Week 2| Daily Cartoon| সোমান্তরাল| স্পর্শ-কাতর!


গত শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রীজাত লেখেন, 'মাঝরাত পার হয়ে গেছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎসবের শব্দে বাড়িতে কান পাতা যাচ্ছে না। টানা এক সপ্তাহ, সকাল ১১টা থেকে রাত ১২টা এই অসহ শব্দতাণ্ডব চলছে, তাদের ওপেন এয়ার থিয়েটারে। বছরে বেশ কয়েকবার হয় এমন। শব্দের সীমাহীন প্রক্ষেপণে জানলা দরজা কাঁপছে, কান-মাথা ব্যথা করছে। আমার লেখালেখি সাতদিন হল শিকেয়, দূর্বা কাজ থেকে ফিরে বিশ্রাম নেবার বদলে কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের কাজকর্মের কথা ছেড়ে দিলাম, বাড়িতে বয়স্ক, অসুস্থ মা আছেন। নিজের ঘরে শান্তিতে থাকতে পারছেন না। জানি না এর কোনও প্রতিকার আছে কিনা, তবু আমি, আমরা প্রতিবাদ জানালাম। ভবিষ্যতে অন্য কোনও পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব। উৎসব যদি অন্যের অশান্তির কারণ হয় এবং লাগাতার হয়েই চলে, তবে তা স্রেফ অসভ্যতা ও অন্যায়।'



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)