Exclusive Srijit Mukherji: `এক্স=প্রেম` রিলিজ হওয়ার পর অনেকের ফোন আসবে, জি ২৪ ঘণ্টার আড্ডায় কলেজ প্রেম নিয়ে নস্টালজিক সৃজিত
জি ২৪ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ আড্ডায় প্রেসিডেন্সি ও জেএনইউ-এর পুরনো স্মৃতিতে ডুব দিলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। পরিচালক বলেন, `প্রেমে যে পড়ি না এটা বললে ঠিক হবে না। সেটার বহিঃপ্রকাশ কখনও সিনেমার মাধ্যমে, কখনও কবিতার মাধ্যমে, কখনও গানের লিরিকের মাধ্যমে প্রকাশ হয়।`
নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবার মুক্তি পেতে চলেছে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি এক্স=প্রেম(X=Prem)। তার আগে জি ২৪ ঘণ্টার(Zee 24 Ghanta) এক্সক্লুসিভ আড্ডায় প্রেসিডেন্সি ও জেএনইউ-এর পুরনো স্মৃতিতে ডুব দিলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়(Srijit Mukherji)। পরিচালক আগেই জানিয়েছেন যে এই ছবি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি। সত্যিই কী তাই! উত্তরে নস্টালজিক পরিচালক।
সৃজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'প্রেসিডেন্সি ও জেএনইউ-কে উৎসর্গ করেছি এই ছবিটা। এই উৎসর্গের কারণ হল এই ছবির ৯৫ শতাংশ ঘটনা আমার জীবনের কিংবা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও বন্ধুবান্ধবের জীবন থেকে উঠে আসা। সেই সব গল্প একসঙ্গে সেলাই করে গেঁথে তাঁর সঙ্গে সায়েন্স ফিকশন, থ্রিলার মিশিয়ে এই চিত্রনাট্য করা। সত্য ঘটনা অবলম্বনে কথাটা অত্যুক্তি নয়।'
সৃজিত মুখোপাধ্যায় কী প্রেমিক মানুষ? খোলাখুলি জবাব পরিচালকের। তিনি বলেন,'ভয়ঙ্কর প্রেমিক মানুষ। প্রেমে যে পড়ি না এটা বললে ঠিক হবে না। সেটার বহিঃপ্রকাশ কখনও সিনেমার মাধ্যমে, কখনও কবিতার মাধ্যমে, কখনও গানের লিরিকের মাধ্যমে প্রকাশ হয়। প্রেম ভেতরে না থাকলে খুব মুশকিল। প্রেমের সবচেয়ে ভালো দিক হল পজিটিভিটি। জীবনের নৈরাশ্য,খারাপ, অন্ধকার দিক সবই অতিক্রম করতে শক্তি জোগায় প্রেম। সেই প্রেম নিজের প্রতি প্রেম হতে পারে, ফেলে আসা দিনের প্রতি প্রেম হতে পারে। সেই নিরিখে তো প্রেমিক বটেই। সেটা অনেকটাই এই ধরনের ছবি বানাতে প্রয়োজন হয়, সেই মুখ গুলো, দিনগুলো, স্মৃতিগুলো দরকার। এক্স=প্রেম স্মৃতি নিয়েই গল্প।'
চিত্রনাট্য লিখতে কোন কোন প্রেমিকার মুখ সামনে এলো? লজ্জামিশ্রিত হাসিতে সৃজিত বললেন, 'ছবি তৈরি করার সময় অনেকের কথা মনে এসেছে। রিলিজের পর অনেক ফোন আসবে, মেসেজ আসবে। সেগুলোর উত্তরও দিতে হবে বা দিতে হবে না। পুরনো প্রেম অটোবায়োগ্রাফির জন্য তোলা থাক। এই ছবি নির্মাণে অতীতের স্মৃতির একটা রোল তো আছেই। প্রেমের ছবি করতে গেলে তো কোনও পড়াশোনার কিছু নেই, সেখানে নিজের স্মৃতির গহনে ডুব দিয়ে সেখান থেকে গল্প, ঘটনা, বিচ্ছেদ, ভালোলাগা তুলে আনতে হয়। সেটাকেই চিত্রনাট্য হিসাবে পরিবেশন করতে হবে।'