নিজস্ব প্রতিবেদন- মাস্ক না পরে প্রচারকে কেমন চোখে দেখছেন তারকা প্রার্থীরা?  সোশ্যাল মিডিয়ায় একদিকে যেমন বেশ কয়েকজন তারকা কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করবার জন্য মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা নিয়ে নিয়মিত পোস্ট করছেন, তখন তাঁদেরই বেশ কিছু কলিগ,  যাঁরা এবার বিধানসভা ভোটে প্রার্থী, তাঁরা উল্টোপথে হাঁটছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরপরই Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের অনুরোধ করা হয় যাতে তাঁরা অন্তত সাবধানতা ও সচেতনতা সহ প্রচারের কাজ করেন। তারই সঙ্গে আমরা ‘মাস্ক আপ বাংলা’ নামে একটি ক্যাম্পেনও চালু করি। তাতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা য়ায় তারকা প্রার্থীদের মধ্যে।


তারকাদের মধ্যে কেউ কেউ, যেমন এবছর প্রথম নির্বাচনে দাঁড়নো বেহালা পূর্বের প্রার্থী পায়েল সরকার প্রচারে বেরিয়ে মাস্ক বিতরণ করেছেন। মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেছেন বেহালা পূর্বের বাসিন্দাদের কাছে। আবার, রাজ চক্রবর্তীর মত তারকা প্রার্থী শুরুর দিকে জানান, বারাকপুরের মানুষজন তাঁর মুখ দেখতে চান, হাত মেলাতে চান তাঁর সঙ্গে। কেউ কেউ এসে আলিঙ্গনও করছেন। নির্বাচনে দাঁড়িয়ে মানুষের আবেগকে দূরে ঠেলে দেওয়া প্রায় অসম্ভব বলে জানান রাজ। যদিও পরবর্তীতে মুখে মাস্ক পরেই প্রচার করছেন বারাকপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী।


আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021: খুনের মামলার সাক্ষীকে সরিয়ে দিতেই হামলা? গুলিবিদ্ধ TMC সমর্থক, তুলকালাম শালিমার


চণ্ডীতলা কেন্দ্রে ভোট হয়ে গেছে, কিন্তু দলের স্টার ক্যাম্পেনার হিসাবে প্রচার করে চলেছেন বিজেপির যশ দাশগুপ্ত। তিনি জানিয়েছেন, প্রচারে বেরিয়ে বেশিরভাগ মানুষ তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে চান। করোনার বাড়বাড়ন্তের আগে তিনি তাঁদের অনুরোধ রাখলেও এই মুহূর্তে সবিনয়ে সেইসব প্রস্তাব প্রত্যখ্যান করছেন। বেহালা পশ্চিম থেকে নির্বাচনে লড়া প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় অবশ্য এক বাস্তব সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। তিনি এখন জেলায় জেলায় ভোট প্রচার করছেন। জেলার মানুষ নায়িকা শ্রাবন্তীকে দেখতে চান. সেখানে মাস্কে মুখ ঢাকলে দল তাঁদের যে কারণে প্রার্থী করেছে, সেই উদ্দেশ্য সাধিত হবে না বলে মনে করছেন অভিনেতা। তবে ৩-৪ দিন অন্তর তিনি কোভিড টেস্ট করাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী।


এদিকে ২৬ এপ্রিল আসানসোল দক্ষিণে নির্বাচন। আসানসোলের শহরের দিক থেকে প্রত্যন্ত আদিবাসী গ্রাম পর্যন্ত ছুটে বেড়াচ্ছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষ। এলাকার শিশুদের কোলে নেওয়া থেকে শুরু করে মা-কাকিমাদের আশীর্বাদ মাথায় নেওয়া, এমন ছবি ভেসে উঠছে প্রতিনিয়ত। সায়নীর অবশ্য সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। তিনি মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী  প্রচার করতে পারলে তাঁরা পারবেন না কেন?


আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত সুজন চক্রবর্তী, ভর্তি হাসপাতালে


বামেদের একমাত্র তারকা প্রার্থী দেবদূত ঘোষ। বামেরা এমনিতেই জমায়েতের বিপক্ষে। কোভিড বাড়া মাত্রই প্রথম রাজনৈতিক দল হিসাবে বামেরা জমায়েত করা বন্ধ করে দেন। তাই তাঁদের মতে, রাজনীতিবিদদের মূল কাজই হল ‘আপনি আচরি ধর্ম, পরেরে শিখাও’। জনগণের মধ্যে নেমে কাজ করতে গেলে কোভিড বিধি মানতে হবে নেতাকেও, তবেই তিনি তাঁর আশপাশের মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার কথা জোর গলায় বলতে পারবেন। যদিও দেবদূতের মতে, জমায়েত থেকে সরে এলেও বামেরা নির্বাচনের দৌড়ে ভীষণভাবেই আছেন, কোথাও য়েন ভুল বার্তা না য়ায়।