রণিতা গোস্বামী : ঘোষিত হয়েছে ৬৮তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের (68th National Film Awards) তালিকা। এবার জাতীয় মঞ্চে বাংলার ভাঁড়ার প্রায় শূন্য। তবে এবার বাংলা থেকে একমাত্র ছবি হিসাবে উঠে এসেছে 'অভিযাত্রিক'(Avijatrik)এর নাম। সেরা বাংলা ছবি এবং সেরা সিনেম্যাটোগ্রাফির পুরস্কার জিতে নিয়েছে অর্জুন চক্রবর্তী এবং দিতিপ্রিয়া রায় অভিনীত 'অভিযাত্রিক'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জাতীয় মঞ্চে 'অভিযাত্রিক'-এর নাম উঠে আসা প্রসঙ্গে পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র বলেন, 'দেশের সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়া এটা যেমন আমার টিম মেম্বারদের জন্য গর্বের, তেমনি বাঙালিদের জন্যও গর্বের। আমি এই পুরস্কার আমার বাবাকে উৎসর্গ করব। বাবা ছবিটা দেখে যেতে পারেননি। তবে উনি জানতেন আমি ছবিটা বানাচ্ছি, শেষ হওয়ার আগেই উনি চলে যান। ভালো ছবি বানানোর চেষ্টা আমরা সবাই করেছি। তবে এটা সম্ভব হয়েছে প্রযোজক গৌরাঙ্গ জালান, মধুর ভান্ডারকর এবং ডক্টর সুমিত আগরওয়ালের জন্য। আজ ডক্টর সুমিত আগরওয়ালও আমাদের মধ্যে নেই। আজকের দিনে ওনাকে মিস করছি। তবে অভিযাত্রিককে সেরা বাংলা ছবি হিসাবে বেছে নেওয়ার জন্য জুরি মেম্বারদের ধন্যবাদ জানাব।'



'অভিযাত্রিক'-এর জন্য সেরা সিনেম্যাটোগ্রাফির পুরস্কার পেয়েছেন সুপ্রতিম ভোল। এবিষয়ে সুপ্রতিম বলেন, '৩০৫টি ছবির মধ্যে সেরা বাংলা ছবি পেয়েছে অভিযাত্রিক, আর এই ছবির জন্যই আমি সামগ্রীক ভাবে সেরা সিনেমাটোগ্রাফারের পুরস্কার পেয়েছি। এছাড়াও সেরা 'হরিয়ানভি' ছবি পেয়েছে 'দাদা লক্ষ্মী', সেখানেও আমি সিনেম্যাটোগ্রাফি করেছি। আমার মনে অভিযাত্রিক ছবি যে মানের, সেটা বানানো যথেষ্ঠ কঠিন ছিল। তাও আবার মাত্র ২২-২৩ দিনে ছবির শ্যুটিং শেষ করা হয়েছে। শুভ্রজিতের চিত্রনাট্য, অর্জুনের অভিনয়, গৌতমদার আর্ট ডিরেকশন এই তিনটি বিষয়ই আমাকে এটা অর্জন করতে ভীষণভাবেই সাহায্য করেছে। এই রকম একটা ছবি বানানোর জন্য সবাই মনপ্রাণ উজাড় করে দিয়েছেন। আর সিনেমাটোগ্রাফি প্রসঙ্গে বলব, আমি সাধারণত কনট্রাস্ট ফটোগ্রাফি পছন্দ করি, কিন্তু অভিযাত্রিকের চিত্রনাট্য কাব্যের মতো, ছবির প্রতিটা দৃশ্য কাব্যময়, তাই এই কনট্রাস্ট ফটোগ্রাফি থেকে বেরিয়ে আমায় শ্যুট করতে হয়েছে। আর এটা আমার নিজের কাছেও চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমি ক্লাসিক ছবি দেখে বড় হয়েছে, সেটা সত্যজিৎ রায় হোক, কিংবা গুরু দত্ত, এই ক্লাসিক ছবির বিষয়টা আমার ভালো লাগার একটা জায়গা। সেকথা মাথায় রেখেই আমি অভিযাত্রিকের শ্যুটিং করেছি। অপু চরিত্রটি পাশের বাড়ির ছেলের মতো হলেও এটা একটা কাব্যিক চরিত্র। ওঁর চরিত্রের মধ্যে যে কল্পনাপ্রবণ যে বিষয়টা রয়েছে, তা দৈনন্দিন জীবন থেকে অনেকটাই দূরে। তাই ওই জায়গাটা তুলে ধরাটা আমার কাছে একটু কঠিনই ছিল।   


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)