নিজস্ব প্রতিবেদন : ​সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ৩ দিন পর থানায় হাজির হন রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্ত কেন আত্মহত্যা করলেন, সে বিষয়ে বয়ান রেকর্ড করা হয় রিয়ার। ব্যান্দ্রা থানায় রিয়ার হাজিরার ছবি প্রকাশ্যে আসতে না আসতেই ফের শুরু হয় অভিনেত্রীকে আরও একদফা নতুন শোরগোল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন : 'আমি ভাল নেই', আত্মহত্যার আগে আচমকাই বন্ধুকে মেসেজ করে জানান সুশান্ত


রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এবার জোর গলায় তোপ দাগলেন জিয়া খানের মা রাবিয়া খান। তিনি অভিযোগ করেন, রিয়া চক্রবর্তী অন্যের দ্বারা প্রভাবিত। জীবিত থাকাকালীন সুশান্তকে বিশ্বাস করানো হয়েছিল য়ে তিনি ক্রমশ মানসিক রোগের শিকার হচ্ছেন। যার জন্য ওষুধ খেতে হবে তাঁকে। নিয়মিত যোগাও করতে হবে বলেও বিশ্বাস করানো হয়েছিল কাই পো চে অভিনেতাকে। সুশান্ত ক্রমশ অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ছেন। সেই কারণে চিকিতসক দেখিয়ে তাঁকে ওষুধ খেতে হবে। এই কথা সুশান্তের মনে গেঁথে দেওয়া হয়েছিল বলেও রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন জিয়া খানের মা।


আরও পড়ুন : ব্যান্দ্রা থানায় পৌঁছলেন রিয়া, পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সুশান্তের বিশেষ বান্ধবী


শুধু তাই নয়, সুশান্ত জীবিত থাকাকালীন তাঁর জন্য কী করেছেন, তা প্রমাণ করতে ব্যস্ত রিয়া। কিন্তু সবটাই করছেন তাঁর ঠাকুরদাদার বয়সী একজন মানুষের কথায়। যাঁর কথা মেনে চলতে রিয়ার কোনও সমস্যা নেই বলেও তোপ দাগেন জিয়ার মা। প্রসঙ্গত, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর মহেশ ভাটের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেন নেটিজেনদের একাংশ। রিয়া কার্যত মহেশ ভাটের কথা শুনে চলছেন বলেও অনেকে অভিযোগ করতে শুরু করেন। যে অভিযোগে ঘৃতাহুতি দেয় লেখিকা সুচরিতা সেনগুপ্তের কথা।


যেখানে সুচরিতা দাবি করেন, সুশান্তের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল মহেশ ভাটের অফিসে। সেখানে সড়ক টু নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন তিনি। ওইদিন সড়ক টু-এর কথা বলায় সুশান্তের মধ্যে উচ্ছ্বাস চোখে পড়ে, তা দেখেই নাকি সন্দেহ হয়েছিল মহেশ ভাটের। পারভিন ববির সঙ্গে সুশান্তের ওইদিন মিল খুঁজে পেয়েছিলেন ভাট-সাহাব। এমনও জানা যায় সুচরিতার কথায়।


আরও পড়ুন : 'সুশান্ত তোমাদের পার্টি, লবি কোনও কিছুর পরোয়া করত না', তোপ প্রয়াত অভিনেতার বন্ধু রোহিনীর


এরপরই নাকি, মহেশ ভাট জানান, সুশান্তের মধ্যে যে মানসিক অস্থিরতা রয়েছে, তা দীর্ঘ চিকিতসা এবং ওষুধের দ্বারাই কমানো সম্ভব।  রিয়া সেই চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু অবসাদ কাটানোর ওষুধ খাওয়া সুশান্ত ক্রমশ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। রিয়া চেষ্টা করেও সুশান্তকে ওষুধ খাওয়াতে পারতেন না বলেও সুচরিতার সাক্ষাতকার থেকে প্রকাশ্য আসে। 


ওই খবর সামনে আসার পরই শুরু হয়ে যায় জোর শোরগোল। রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে সুশান্তের কেমন সম্পর্ক ছিল, তা নিয়ে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। জিয়া খানের মা দাবি করেন, অন্যের কথায় প্রভাবিত হয়েই শেষ পর্যন্ত রিয়া ফোন ধরেননি সুশান্তের। যদিও রিয়া চক্রবর্তীর তরফে এ বিষয়ে পালটা কোনও মন্তব্য করা হয়নি এখনও পর্যন্ত।