নিজস্ব প্রতিবেদন: রিয়ার চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ এনেছে সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবার। আর সেই মামলার তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তদন্তে নেমে এবার ইডি (ED)র হাতে উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য। 'ইন্ডিয়া টুডে'র প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, বর্তমানে মুম্বইয়ের মালাড এলাকার যে ফ্ল্যাটে অঙ্কিতা লোখান্ডে থাকেন, সেই ফ্ল্যাটের ইএমআই দিচ্ছিলেন সুশান্ত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অঙ্কিতা মালাডের যে ফ্ল্যাটে রয়েছেন, সেটা একপ্রকার তাঁর দখল করে রাখা বলে দাবি করা হচ্ছে। জীবিত থাকাকালীন সুশান্ত এই ফ্ল্যাটের ইএমআই হিসাবে প্রায় ৪.৫ কোটি টাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমনটাই ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে বলে 'ইন্ডিয়া টুডে'র প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে ।  রিয়া চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এই তথ্য ইডিকে তিনিই জানিয়েছেন। রিয়ার কথায়, সুশান্ত অঙ্কিতার ফ্ল্যাটের ইএমআই দিয়ে চলেছিলেন, অথচ অঙ্কিতাকে ফ্ল্যাট খালি করতে বলেননি। প্রসঙ্গত, বেশকিছু বছর আগে অঙ্কিতার সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকীলনই তাঁরা এই ফ্ল্যাটটি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এরজন্য সেসময় ঠিক কত টাকা দেওয়া হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে এখনও ফ্ল্যাটের শেষকিছু ইএমআই বাকি রয়ে গিয়েছে বলে সুশান্তের অ্যাকউন্ট সংক্রান্ত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে।


আরও পড়ুন-অঙ্কিতার ফ্ল্যাটের EMI দিচ্ছিলেন সুশান্ত! রিয়ার দাবি কি আদৌ সত্যি? জেনে নিন...



আরও পড়ুন-প্রভাসের সঙ্গে বিয়ের গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, ব্যবসায়ীর সঙ্গে বাগদান চিরঞ্জিবীর ভাইঝি


যদিও এখবর প্রকাশ্যে আসার পর অঙ্কিতা এখনও এবিষয়ে মুখ খোলেননি। তবে, এই ফ্ল্যাটের সমস্ত তথ্য চেয়ে অঙ্কিতাকে ইডি ডেকে পাঠাতে পারে বলে খবর। প্রসঙ্গত, এর আগে এক সাক্ষাৎকারে অঙ্কিতা বলেন, সুশান্ত কোনওদিনই টাকা-পয়সা নিয়ে বিশেষ ভাবতেন না। প্রসঙ্গত, টানা ৬ বছর একসঙ্গেই থাকতেন অঙ্কিতা ও সুশান্ত। ২০১৬ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। তার আগে পর্যন্ত মালাড-এর ওই ফ্ল্যাটে অঙ্কিতা ও সুশান্ত এক সঙ্গেই থাকতেন। তাঁরা দুজনে মিলেই ফ্ল্যাটটি কেনার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। বিয়ে করার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছিলেন তাঁর। তবে শেষপর্যন্ত তাঁদের সে সম্পর্ক ভেঙে যায়। সুশান্ত ওই ফ্ল্যাট ছেড়ে বের হয়ে আসেন।