জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতবর্ষে চলচ্চিত্র নির্মাণের ইতিহাস নানান ভাঙাগড়ার রঙ ও সুবিন্যস্ত কাহিনীর মধ্যে দিয়ে এগিয়েছে। প্রযুক্তিগত ভাবে ও অভিনয় দক্ষতার নানান দিকপালের হাত ধরে বর্তমান চলচ্চিত্রের যুগ প্রতিনিয়ত নতুন দিশা পেলেও নতুন প্রজন্মের নির্মাতা ও প্রযোজকরা ইতিহাসের অবদান সশ্রদ্ধায় স্বীকার করেন। সিনেমা ধীরে ধীরে বিনোদন থেকে মানুষের হাসি, কান্নার সঙ্গীর স্তর থেকে উন্মাদনার পর্যায়তেও পৌঁছায়। তৎকালীন চলচ্চিত্রের এমনই অনস্বীকার্য এক কিংবদন্তীর নাম সুশীল মজুমদার। ১৯০৫ সাল থেকে ১৯৮৭ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারী অবধি তাঁর জীবনকালের দীর্ঘতম সময় (প্রায় পঞ্চাশ বছর) চলচ্চিত্র পরিচালনা ও অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে কেটেছে। তাঁর সৃষ্ট কিছু চিরন্তন ছবির মধ্যে 'লাল পত্থর', 'হসপিটাল', 'যোগাযোগ', 'ভাঙাগড়া', 'রিক্তা' বিনোদন জগতে ব্যবসায়িক ও সাফল্যের আঙ্গিকে আলোড়ন ফেলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Cannes 2023: চোখ ঝলসানো গাউন! 'কান' রেড কার্পেটে তাক লাগালেন ঐশ্বর্য...


সুশীল মজুমদার সাফল্যের সেই শীর্ষে পৌঁছান যেখানে তিনি টলিউড ও বলিউডে তৎকালীন ভারতের শ্রেষ্ঠ ও অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা ও পরিচালকদের সাথে কাজ করেন। যাদের মধ্যে ছিলেন উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন, সুপ্রিয়া দেবী, ছবি বিশ্বাস, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ কুমার, নসিম বানু, হেমা মালিনী, রাখী এমনকি সত্যজিৎ রায়ের সাথেও কাজ করেন। বিশ্বভারতীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের খুব নিকট ছাত্র হওয়ায় সুশীল মজুমদার সবসময় অভিনয়ই করতে চেয়েছিলেন। আর সেই কারণেই প্রমথেশ বড়ুয়া ও দেবকী কুমার বসুর সমস্ত ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমেই তিনি যাত্রা শুরু করেন।


এরপর ১৯২৮ সাল থেকে তিনি একাধিক বিখ্যাত ছবি পরিচালনা করেন এবং তাঁর পরিচালিত প্রতিটি ছবিতে তিনি নিজের জন্য একটি করে চরিত্র বরাদ্দ রাখতেন। ১৯৭১ এ হিন্দি ছবি 'লাল পত্থর' তার পরিচালনায় শেষ কাজ। কিন্তু এর পরবর্তীতে প্রায় পনেরো বছর তিনি বহু ছবিতে শুধু অভিনয় করে গেছেন এবং মুগ্ধ করেছেন। সত্যজিৎ রায়ের তত্ত্বাবধানে সন্দীপ রায়ের পরিচালনায় রেডিওতে 'বাক্স রহস্য'তে কন্ঠাভিনয়ও করেন। ইতিপূর্বে সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় 'চিড়িয়াখানা'তে তাঁর অভিনয় অবিস্মরণীয়। 


আরও পড়ুন: The Kerala Story: মমতাদি কে পাশে নিয়ে একসঙ্গে ছবিটা দেখব: সুদীপ্ত


ইন্দ্রনীল সরকারের পরিচালনায়, সঞ্জয় মিশ্রর প্রযোজনায় “দ্য ডোয়েন'স জার্নি থ্রু টাইম” ছবিটিতে সুশীল মজুমদারের কাজের পাশাপাশি তাঁর চোখ দিয়ে ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান-পতন দেখানো হয়েছে। ব্রিটিশ ইন্ডিয়া থেকে স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতবর্ষের নানান উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীও তুলে ধরা হয়েছে। ছবিটিতে সুশীল মজুমদার মহাশয়কে নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপ রায়, লিলি চক্রবর্তী, শতাব্দী রায়, নির্মল কুমার প্রমুখ। ব্যাকগ্রাউন্ডে কন্ঠশিল্পী হিসাবে তপথ্যচিত্রটিতে কন্ঠ দিয়েছেন বরুণ চন্দ। সহ পরিচালনায় চন্দ্রিমা রায়,ক্যামেরায় জগন্নাথ কর্মকার, এডিট করেছেন শান্তনু ঘোষ এবং কালার গ্রেডিং ও কারেকশনে ঋভু ভৌমিক। সুশীল মজুমদারের নাতি অর্থাৎ দৌহিত্র সঞ্জয় মিশ্র উদ্যোগ নিয়ে প্রযোজনা করেন এই ছবিটির। ছবিটি সুশীল মজুমদার সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যে দর্শককে সমৃদ্ধ করবে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)