`আমার পরিবারে সুষমাজি মায়ের মতো`, শোকপ্রকাশ আদনানের
এভাবেই শোকপ্রকাশ করেন, গায়ক আদনান সামি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ''সুষমা স্বরাজের মৃত্যুর খবরে আমার গোটা পরিবার স্তম্ভিত। উনি আমাদের সকলের কাছে মাতৃসম ছিলেন। ওনার মতো একজন ভালোবাসার, কাছের মানুষের অভাববোধ আমরা চিরকাল করল।'' সুষমা স্বরাজের মৃত্যুতে এভাবেই শোকপ্রকাশ করেন, গায়ক আদনান সামি।
সুষমা স্বরজ এমন একজন ব্যক্তিত্ব, যিনি শুধু ভারতীয় নাগরিকদের কাছেই নন, পাকিস্তানের মতো দেশের বহু নাগরিকের কাছেও শ্রদ্ধেয়। গুরুতর ব্যাধিতে আক্রান্ত বহু পাকিস্তানি নাগরিকের আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁদের এদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতে পিছপা হননি সুষমা স্বরাজ। তাই পাকিস্তানের সেই সমস্ত নাগরিকদেরও তিনি অত্যন্ত কাছের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন। আবার আদনান সামির মতো পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত গায়ক, যাঁকে একসময় এদেশের নাগরিকত্ব পেতে খুব স্বাভাবিকভাবেই কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল। সেই আদানান সামিরও ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল সুষমা স্বরাজের। আর একথা কারোরই প্রায় অজানা নয়।
আরও পড়ুন-''অসাধারণ মানুষ ছিলেন সুষমাজি'', শোকবার্তায় লিখলেন অমিতাভ
বাবা হওয়ার পর তাই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে দেখাও করে এসেছিলেন আদনান সামি।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে প্রথম কাজের জন্য ভারতে আসেন আদনান সামি। তারপর কাজের জন্যই তাঁর ভিসার সময়সীমা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। ২০১৫ সালে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক খারাপ হলে পাকিস্তান গায়কের পাসপোর্ট নবীকরণ করতে অস্বীকার করে। সেসময়ও মানবিকতার খাতিরে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আদনান। ভারতের নাগরিকত্বের জন্য তিনি আবেদন করেন। সেসময় আদনানের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কিরণ রিজিজু ও সুষমা স্বরাজের মতো ব্যক্তিত্ব। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই আদনান সামীর কাছে মাতৃসম হয়ে উঠেছিলেন সুষমা স্বরাজ।
আরও পড়ুন-সুষমা স্বরাজের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ অপর্ণা সেন, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর