Sushmita Sen: অবিবাহিত হয়ে সন্তান দত্তক! ব্যক্তিগত-অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে সুস্মিতা
টুইঙ্কেলের সঙ্গে আড্ডায় সুস্মিতা বলেন যে, মেয়েকে দত্তক নেওয়ার সময় কীভাবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিচারকের `সংকীর্ণ ও পুরনো ধ্যান ধারণার` শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে ও তাঁর বাবাকে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে টুইঙ্কেল খান্নার কাছে নিজের জীবনের কিছু অজানা গল্প শেয়ার করেছেন সুস্মিতা সেন(Sushmita । সেই কথোপকথনের জেরেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর দুই মেয়ের দত্তক নেওয়ার সময় যে যে সমস্যার মুখে পড়েছেন সেই কথাই তুলে ধরেছেন।
সুস্মিতা তাঁর বড় মেয়ে রেনে সেনকে ২০০০ সালে দত্তক নিয়েছিলেন এবং তাঁর দ্বিতীয় মেয়ে আলিসা সেনকে ১০ বছর পরে দত্তক নেন। টুইঙ্কেলের সঙ্গে আড্ডায় সুস্মিতা বলেন যে, মেয়েকে দত্তক নেওয়ার সময় কীভাবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিচারকের 'সংকীর্ণ ও পুরনো ধ্যান ধারণার' শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে ও তাঁর বাবাকে।
রেনিকে দত্তক নেওয়ার সময়ের কথা উল্লেখ করে, সুস্মিতা সেন টুইঙ্কেল খান্নাকে বলেছিলেন,'এটি এমন একটি বিষয় ছিল যা আমি জানতাম যে আমাকে করতে হবে এবং এটি করার জন্য আমি বদ্ধপরিকর ছিলাম।আমার আগে একজন ২৯ বছর বয়সী ডিভোর্সড মহিলা যাকে দত্তক নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তিনি সিঙ্গেল কিন্তু ডিভোর্সী। আমি ২১ বছর বয়সে আবেদন করছি, কখনও বিয়ে করিনি, সন্তানের মা হয়নি - এই সবই একটি সমস্যা। তারা অবশ্যই এটি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করবে। রেনি আগেই আমার তত্ত্বাবধানে এসেছিল এবং ৬ মাস পরে আদালতে শুনানি হয়েছিল। তাই আমি আমার বাবা ও ড্রাইভারকে বলেছিলাম, ‘বাবা এই ঘর থেকে বেরতেই, গাড়ি স্টার্ট দিয়ে রেখ, আমি বাচ্চা নিয়ে পালিয়ে যাব।'
আরও পড়ুন: Raima Sen : দক্ষিণপাড়ার দুর্গা, দুয়ারে রাইমা
রেনিকে দত্তক নেওয়ার জন্য আদালতের শুনানির বিষয়ে বিশদভাবে, সুস্মিতা সেন বলছিলেন যে, তার চোখে জল ছিল, তিনি বিচারককে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তিনি শ্রেষ্ঠ মা হিসাবে তাঁর সমস্ত দায়িত্ব পালন করবেন। এরই মাঝে আচমকা বিচারক সুস্মিতার বাবাকে বলেছিলেন,যদি তাঁর বাবা তাঁর সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হন তাহলে এটি তাঁর মেয়ের বিয়ের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করবে এবং তাঁর মতে তাঁর বাকি জীবনকেও প্রভাবিত করবে। সুস্মিতা বলেন, তাঁর বাবা সুবীর সেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি তাঁর মেয়েকে তাঁর নিজের শর্তে জীবনযাপন করার জন্য বড় করেছেন। তিনি বিচারককে উত্তর দিয়েছিলেন যে, তিনি তাঁর মেয়ের বিবাহের সম্ভাবনা দেখতে চান না, তিনি কখনও তাঁকে কেবল কারও স্ত্রী হওয়ার জন্য তৈরি করেননি। এরপরই বিচারক তাঁর দত্তক নেওয়ার বিষয়টি মঞ্জুর করেন।