জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বেশ কয়েকদিন ধরেই পুরী থেকে একের পর এক ছবি পোস্ট করছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়(Swastika Mukherjee)। উল্টো রথে(Ratha Yatra) বন্ধুদের সঙ্গে পুরী(Puri) গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখান থেকেই ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। কখনও রথের সামনে কখনও আবার সমুদ্র সৈকতে ছবির তোলার ছবি পোস্ট করেন স্বস্তিকা। সোমবার সেরকমই একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন অভিনেত্রী। সেই ভিডিয়োয় দেখা যায়, তিনি ও তাঁর বন্ধুরা সমুদ্রের পাড়ে বসে সমবেত কন্ঠে গাইছেন রবীন্দ্র সংগীত(Rabindra Nath Tagore)- ‘এই আকাশে আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- Nabanita Das | Jeetu Kamal: ‘কিছু জিনিস আবছা থাকাই শ্রেয়…’, জীতুর উদ্দেশ্যে ফের হেঁয়ালি পোস্ট নবনীতার?


ভিডিয়োর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন তাঁর পুরী ভ্রমণের গল্প। অভিনেত্রী জানান যে তাঁরা প্রায় ১৪ জন মিলে রথযাত্রায় পুরী গিয়েছিলেন। সেখানেই সবাই মিলে চুটিয়ে উপভোগ করেছেন। স্বস্তিকা লেখেন, ‘আমরা ১৪ জন মিলে পুরী গিয়েছিলাম। বন্ধু, বন্ধুদের বন্ধু। মূল কারণ জগন্নাথ দর্শন ও রথযাত্রা। অদ্ভুতভাবে রবি ঠাকুর দর্শনও হল। কত গান গাইলাম সবাই, কত কথা, কত অজানা অনুভূতি। ওঁর জীবন, আনন্দ, শোক, পুজো, কতটুকুই বা ভালো করে বুঝেছি আমরা।’


স্বস্তিকা আরও লেখেন, ‘আজ স্বপ্নে ঠাকুরকে দেখলাম। ওনাকে এত কাছ থেকে কখনও দেখেছি বলে মনে পড়ে না। ঈশ্বরের মত রূপ- স্নিগ্ধ, শান্ত। পায়ের কাছে চুপটি করে বসে আছি। প্রণাম করতে যাব, ঘুম ভেঙে গেল।’ গতকালই পুরীর রথযাত্রার কিছু ছবি পোস্ট করেছিলেন স্বস্তিকা। সেখানেই তাঁর এবছরের রথযাত্রায় জগন্নাথ দর্শন নিয়ে বেশ কিছু কথা শেয়ার করেন অভিনেত্রী।



স্বস্তিকা লেখেন, ‘অসাধারণ ২ দিন কাটল। ভাবতেই পারি না কখনো এত কাছে থেকে দর্শন হবে। এই প্রথম রথাযাত্রায় পুরী গিয়েছিলাম। নইলে অসংখ্যবার তাঁর দর্শন হয়েছে। সেই একই রকমের গায়ে কাঁটা দেওয়া অনুভূতি। প্রত্যেক বছর গরমের ছুটিতে আমরা পুরী যেতাম। একই হোটেলের একই রুমে প্রতিবার থাকতাম। এটা আমাদের এমন এক নিয়ম হয়ে গিয়েছিল যেটা কখনও বাদ যেত না। এরপর আমরা বড় হয়ে গেলাম, বাবা-মা বুড়ো হয়ে গেল। গরমের ছুটিও হারিয়ে গেল।’


আরও পড়ুন- Actor Death: প্রয়াত হরিশ মোগান, চুপিসারেই চলে গেলেন অমিতাভ-ধর্মেন্দ্রর সহ অভিনেতা...


অভিনেত্রী লেখেন, ‘বাবা জগন্নাথ দর্শনে যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু যাওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা ছিল না। এরপর একদিন বাবা চলেই গেলেন। বাবা বলেছিল উনি না ডাকলে তো যাওয়া হবেনা, নারায়ণ এর ডাক এল না জানিস তো। আমি এখনও বাবার কথা ভাবি আর অনুভব করি যে আমার মধ্যে দিয়েই বাবা দর্শন করলেন। সেই জন্যই বোধহয় এত কাজের মধ্যেও ২টো দিন ছুটি জুটে গেল। মা প্রায়ই বলতেন, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহু দূর। বিশ্বাসটাই মনকে সাহস যোগায়, ঈশ্বর আছেন তাই আছি।’



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)