Taylor Swift’s Edinburgh Concert: কনসার্টের কারণেই ভূমিকম্প, আমেরিকার পর স্কটল্যান্ড! পৃথিবী জানে `সুইফট কোয়েক`
Taylor Swift’s Edinburgh Concert: টেলরের সুইফটের কনসার্টের কারণেই ফের ভূমিকম্প! বারবার ঘটে এমনটা। জানে দুনিয়া।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মার্কিনি মিউজিক অ্যান্ড এন্টারটেন্টমেন্ট ম্যাগাজিন বিলবোর্ড। তাদের অফিসিয়াল ওয়েবাসাইটে যদি ঢুঁ মারা যায়, তাহলে দেখা যাবে যে, স্পটিফাই জানিয়েছে গতবছর 'মোস্ট স্ট্রিমড' গায়িকার নাম টেলর সুইফট (Taylor Swift)। স্ট্রিম কাউন্ট ২৬.১ বিলিয়ন! এত বেশি বার বিশ্বের কোনও গায়ক বা গায়িকাকে এর আগে স্ট্রিম করা হয়নি। হ্যাঁ এটাই টেলর। বিশ্বের সব পারফর্মার একদিকে। 'গ্লোবাল সেনসেশন' টেলর একদিকে। একাই একশো।
আরও পড়ুন: ৮২ লক্ষ করে দিলেন ৫০ ট্রাক ড্রাইভারকে! পেলেন গায়িকার বিশেষ কাজ করার পুরস্কার
টেলর পাশ্চাত্য সঙ্গীত সাম্রাজ্যের অন্যতম সম্রাজ্ঞী। সুরের সাগরে তাঁর গলা মিঠে হাওয়ার মতোই। এহেন টেলর গতবছর ১৭ মার্চ থেকে শুরু করেছেন ম্যারাথন কনসার্ট 'দ্য এরাস ট্যুর'। এই ট্যুরে বারবার একটা জিনিসই দেখা গিয়েছে। এক মানুষের উন্মাদনা, উদ্বেল শ্রোতার বাঁধনভাঙা নাচ। আর এই নাচ থেকেই হয় ভূমিকম্প। আমেরিকার পর এবার দেখল স্কটল্যান্ড। স্কটিশ রাজধানী এডিনব্রার মারেফিল্ড স্টেডিয়ামে ৭-৯ জুন দেখেছে টেলরের 'দ্য এরাস ট্যুর'! সাতদিন পর জানা যাচ্ছে টেলরের শোয়ের জন্যই ফের হল ভূমিকম্প।
স্কটল্য়ান্ডের জাতীয় রাগবি দলের মাঠে আসা ৭৩ হাজার মানুষ, টেলরের শোয়ের প্রথম রাতেই যা করে দিয়েছেন, তাতে কেঁপে গিয়েছে স্টেডিয়াম। প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে ভৃ-কম্পন অনুভূত হয়েছে। আর রিপোর্ট দিয়েছে ব্রিটিশ জিয়োলজিকাল সার্ভে। ওরফে বিজিএস। তারা সিসমোগ্রাফিক প্য়াটার্ন খেয়াল করে দেখেছে যে, টানা তিনরাতই এরকম ভূমিকম্প হয়েছে।
কনসার্টের হুল্লোড় তুঙ্গে গিয়েছিল ১৬০ বিট প্রতি মিনিটে। দর্শকের নাচানাচাতি ৮০ কিলোওয়াট শক্তি উৎপন্ন হয়েছিল। যা ১০ থেকে ১৬টি গাড়ির ব্য়াটারি চললে হয়। কম্পনের মাত্রা ন্য়ানোমিটারের মাত্রায় ছিল কখনও ২২.৮, কখনও ২৩.৩ তো কখনও ২৩.৪। 'রেডি ফর ইট', 'ক্রুয়েল সামার' ও 'শ্য়াম্পেন প্রবলেমস' গানগুলি যখনই টেলর গেয়েছেন, তখনই ঝড় উঠেছে।
ইউএস ম্য়াগাজিনের রিপোর্ট বলছে যে, এই ভূমিকম্প স্কটল্য়ান্ডেই প্রথম নয়। গতবছর টেলরের 'দ্য এরাস ট্যুর'-এর সিটল ও লস অ্যাঞ্জেলস পর্বেও জমি নড়ে গিয়েছিল। ভূ-কম্পনের মাত্রা কখনও ২.৩ ম্য়াগনিটিউডও ছিল। এটাই টেলরের মহিমা। তবে ফ্য়ানরা বিষয়টিকে 'আর্থকোয়েক' অর্থাৎ ভূমিকম্প বলেন না। নাম দিয়েছেন 'সুইফট-কোয়েক'! এতেই বোঝা যায় যে, টেলর কোন দরের শিল্পী।
টেলর গতবছর ১৭ মার্চ থেকে শুরু করেছেন ম্যারাথন কনসার্ট 'দ্য এরাস ট্যুর'। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ট্যুরে টেলর পাঁচটি মহাদেশের ২২টি দেশ ঘুরে ১৩১টি শো করার পরিকল্পনা করেছেন। ২০১৮ সালে রেপুটেশন স্টেডিয়াম ট্যুরের পর এটাই টেলরের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ট্যুর। টেলর এখনও পর্যন্ত মোট ১১টি অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। মূলত প্রতিটি অ্যালবামের বাছাই করা গানই গাইছেন ১২টি গ্র্যামি, ১৪টি এমটিভি ভিডিয়ো মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের সঙ্গেই প্রায় শতাধিক গিনেস বিশ্বরেকর্ডধারী!
স্কটল্য়ান্ড থেকে পোল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ায় শো করে টেলর ফিরবেন নিজের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তবে বিরতি তিনি নেবেন না। ফ্লোরিডা, লুইজিয়ানা ও ইন্ডিয়ানায় শো করে চলে যাবেন কানাডায়। সব ঠিক থাকলে আগামী ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর ভ্যাঙ্কুভারে শেষ হবে তাঁর এই ট্যুর। আরও কত শহর যে কাঁপবে, তা টেলর ও তাঁর অনুরাগীরাই জানেন।
আরও পড়ুন: এবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সও টেলর সুইফটকে নিয়ে!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)