এই কারণেই কি মোটা হচ্ছে শিশুরা?
খেলার মাঠ নেই। খেলাধুলো নেই। নেই শরীরচর্চা। নেই বাবা-মার সঙ্গ। আছে শুধু স্কুল, ঘাড় গুঁজে পড়া, কম্পিউটার আর মোবাইল। নিট ফল মোটা হচ্ছে বাচ্চারা।
ওয়েব ডেস্ক: খেলার মাঠ নেই। খেলাধুলো নেই। নেই শরীরচর্চা। নেই বাবা-মার সঙ্গ। আছে শুধু স্কুল, ঘাড় গুঁজে পড়া, কম্পিউটার আর মোবাইল। নিট ফল মোটা হচ্ছে বাচ্চারা।
বিপদ। বড় বিপদ। ওবেসিটি মারাত্মক ভাবে থাবা বসাচ্ছে স্কুল পড়ুয়াদের ওপর।
২৬টি রাজ্যের ৮৬টি শহর, ৩২৬টি স্কুল, ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৯৩২ জন পড়ুয়া, ৭ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে বয়সের পড়ুয়াদের ওপর দেশজুড়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল EduSports নামের একটি সংস্থা। তাদের সেভেনথ অ্যানুয়াল হেলথ ও ফিটনেস স্টাডি রিপোর্টে যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, তা কলকাতার জন্য উদ্বেগের।
রিপোর্টে বলা হয়েছেসারা দেশে সবচেয়ে বেশি ওভার ওয়েট স্কুলছাত্র রয়েছে হায়দরাবাদে। বেসরকারি স্কুলের ৩৯.১৬ শতাংশ ছাত্র ওবেসিটির শিকার। হায়দরাবাদের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। কলকাতার বেসরকারি স্কুলের ৩৭.১৭ শতাংশ ছাত্র ওবেসিটির শিকার। পরিসংখ্যান দেখে ভুরু কুঁচকাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, এমনটা চললে স্কুল ক্যাম্পাসে মহামারির আকার নেবে ওবেসিটি। ওজন ও উচ্চতার তুলনায় শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাটের পরিমাণ কত? তা মাপা হয় BODY MASS INDEX বা BMI এর সাহায্যে। ৭ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের শরীরে আদর্শ BMI রেঞ্জ হল ১৫ থেকে ২২। কিন্তু Edu Sports এর সমীক্ষায় দেখা গেছে, কলকাতায় ৭ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলছাত্রদের শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।
Edu Sports দেশজোড়া এই সমীক্ষা চালিয়েছে শুধুমাত্র বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে। মজার কথা হল, ওবেসিটির নিরিখে ছেলেদের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে হেলদি জায়গায় রয়েছে মেয়েরা। স্কুল পড়ুয়াদের ওবেসিটির নিরিখে শীর্ষে থাকা হায়দরাবাদ শহরেই ছবিটা স্পষ্ট। নিজামের শহরে বেসরকারি স্কুলের ৩৯.১৬ শতাংশ ছাত্র ওবেসিটির শিকার। ছাত্রীদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা হল ২৫.৬ শতাংশ। পরিসংখ্যান যাই হোক না কেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের ওপর ওবেসিটির এই থাবা নিঃসন্দেহে আতঙ্কের। আমাদের বেশি উদ্বেগ কলকাতাকে নিয়ে।