Swatantray Veer Savarkar: `সাভারকার মোটেই ক্ষুদিরাম, ভগৎ সিং বা নেতাজিকে অনুপ্রাণিত করেননি...`
Swatantray Veer Savarkar: সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে সাভারকার সিনেমার টিজার। পোস্টার সহ টিজার সামনে আসতে না আসতেই নেটপাড়ায় ঝড়। ভুল মন্তব্য করেছেন অভিনেতা রণদীপ হুডা আর তা নিয়েই শুরু বিতর্ক। সেই বিতর্কে মুখ খুলেছেন টলিউডের স্বস্তিকা মুখোপাধ্য়ায় ও জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রণদীপ হুডা পরিচালিত ও অভিনীত 'স্বতন্ত্র বীর সাভারকারে'র টিজার প্রকাশ্যে আসতেই উঠল বিতর্কের ঝড়। ছবিতে বিনায়ক দামোদর সাভারকারের(Savarkar) ভূমিকায় দেখা যাবে রণদীপ হুডাকে(Randeep Hooda)। নেটপাড়ায় সিনেমার পোস্টার শেয়ার করেছেন অভিনেতা স্বয়ং। লিখেছেন,'সাভারকার ব্রিটিশের কাছে ছিলেন মোস্ট ওয়ানটেড। তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ভগৎ সিং এবং ক্ষুদিরাম বসুর মতো বিপ্লবীদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন।' রণদীপ হুডার এই মন্তব্যে অভিনেতার প্রথম পরিচালনা করা সিনেমার টিজার-প্রকাশ -লগ্নেই ঝড় উঠেছে নেটপাড়ায়। ছবিটির মূল শ্যুটিং-পর্ব প্রায় শেষ এবং এটি এই বছরের শেষের দিকেই মুক্তি পাওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: Shahrukh Khan: নতুন সংসদভবন উদ্বোধনের ভিডিয়ো ট্যুইট শাহরুখ খানের, কটাক্ষ এনসিপির
রনদীপ হুডার এই ট্যুইট-বিতর্কে মুখ খুলেছেন টলিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্য়ায়(swastika mukherjee)। তিনি ট্যুইট করে লিখেছেন, 'ক্ষুদিরাম বসু আঠারো বছর বয়সে প্রয়াত। এই বয়সের আগেও কেউ তাঁকে স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছিল? আর, নেতাজি যখন 'নেতাজি' হলেন, তখন কি তিনি কারও দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তা হয়েছিলেন? ভগৎ সিং-এর ইতিহাস আমরা সবাই জানি। তা হলে এখন হঠাৎ করে কোথা থেকে এই অনুপ্রেরণামূলক গল্প উঠে এল?'
প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন টলিউড অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনিও ক্ষুব্ধ হয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, 'অভিনেতা হিসেবে রণদীপ হুডাকে আমি খুবই শ্রদ্ধা করি। কিন্তু এইভাবে শুধু সিনেমা প্রচারের জন্য ভুল জিনিস দেখাবেন না। পারলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ভগৎ সিং, ক্ষুদিরাম বসুর প্রকৃত ইতিহাস জানুন। আপনিও হয়তো কঙ্গনা রানাওয়াতের মতো জাতীয় পুরস্কার জিতবেন কিন্তু দর্শকদের মন জিততে পারবেন না।'
এই তারকাদের পাশাপাশি নেটিজেনরাও বিতর্কে অংশ নিয়েছেন। এক নেটিজেন ট্যুইট করে কিছু ইতিহাসের কথা লিখেছেন। তিনি লেখেন ক্ষুদিরাম বসু ১৯০৮ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময়ে ১৯০৬ থেকে ১৯১১ সাল পর্যন্ত সাভারকার লন্ডনে ছিলেন। শুধু তাই নয়, নেহরু এবং নেতাজি যখন ভগৎ সিংকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন, তখন সাভারকার নাকি কোনও কথাই বলেননি।আরও একজন রণদীপ হুডার উদ্দেশ্যে ট্যুইট করে লিখেছেন, সাভারকারকে নিয়ে আপনার যে চিন্তাধারাই থাকুক না কেন, সাভারকার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ভগত সিং এবং ক্ষুদিরাম বসুকে কোনও ভাবেই অনুপ্রাণিত করেননি। তাই ওঁদের নাম এই সিনেমায় আনবেন না।