২০১৫ সাল সবার আড়ালে বলিউডকে কিছু শিক্ষা দিয়ে গেল। এক নজরে দেখে নিন সেগুলি--  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৫) সেক্স সেলস, তবে যেমন তেমন ভাবে দেখিয়ে নয়- হেট স্টোর থ্রি-এর বক্স অফিস সাফল্য প্রমাণ করেছে বলিউডে সেক্স এখনও হট কেকের মতই বিক্রি হয়। কিন্তু তা বলে বোকা বোকাভাবে দেখিয়ে কোনওরকম গোঁজামিল দিলে দর্শক নেবে না। তার বড় প্রমাণ সানি লিওনের 'কুচ কুচ লোচা হ্যায়'। সেই ছবিতে চাপা যৌনতা দেখানো হয়েছে। সানি লিওনের অঙ্গ প্রদর্শণ করা হয়েছে। কিন্তু বিষয় ছেড়ে একেবারে গোঁজামিল দিতে মেলানোর চেষ্টা করা হয়েছে। বিপাশা বসুর অ্যালোন নামের হর সিনেমার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। সিদ্ধান্ত একটাই ২০১৫ এসে বলিউডে যৌনতার ওপর তৈরি হওয়া সিনেমা শেখালো স্মার্টি মেকিং হতে হবে।


৪) ছোট বলেই তুচ্ছ নয়-২০১৫ শেখালো কম বাজেটের সিনেমা মানেই শুধু হাততালি কোড়ানো বা পুরস্কার নয় বক্স অফিসেও সফল হয়।  এই যেমন মিস তানাকপুর হাজির হো, বা পেয়ার কা পঞ্চনামা টু। বাদলাপুরই হোক দম লাগাকে হাইসা। এসব ছবির বাজেট খুবই কম কিন্তু ব্যবসায়িক সাফল্য রয়েছে।


এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বছরের ছোট বাজেটের পাঁচ সফল সিনেমার কথা--
বাদলাপুর (বাজেট ২৫ কোটি, আয় ৫১ কোটি), দম লাগাকে হাইসা (বাজেট ১১ কোটি, আয় ২৯ কোটি), হান্টার (বাজেট ৪ কোটি, আয় ১১ কোটি), মানঝি (বাজেট ৮.৫ কোটি, আয় ১২.৫ কোটি), মাসান (বাজেট ২.৫কোটি, আয় ৩ কোটি),


৩) গল্প আর কনসেপ্টই বড় তারকা-গল্প, কনসেপ্ট থাকলেই বাজিমাত করা যায়। উদাহরণ মানঝি, তন্নু উইডস মন্নুর মত সিনেমারা।


২) বড় পরিচালক, বড় অভিনেতাই যথেষ্ট নয়- 'বম্বে ভেলভেট'সিনেমায় কী ছিল না! অনুরাগ কাশপ্যের মত পরিচালক, রণবীর কাপুরের মত স্টার। তবু শেষ অবধি বক্স অফিসে মুখথুবড়ে পড়ল। কাট্টি বাট্টির ক্ষেত্রেও এক ব্যাপার। আসলে বড় পরিচালক, অভিনেতা দিয়ে বাজিমাত করার পরিকল্পনাটা ভেস্তে দিল ২০১৫।


১) সলমন একাই সাতশো--হ্যাঁ, একাই একশো দুশো। এসব পুরনো। ২০১৫ সালে সলমন খান হলেন একাই সাতশো। বজরঙ্গি ভাইজান, প্রেম রতন ধন পায়ো মিলিয়ে বক্স অফিসে ৭০০কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা হল সলমনের সিনেমায়। ২০১৫ স্লোগান তুলল 'ভাইজান জয় হো'।