Tunisha Sharma, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : তুনিশা শর্মার শেষ মুহূর্তের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যে ভিডিয়োটি হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ বলে দাবি করা হচ্ছে। যেখানে তুনিশার প্রাক্তন প্রেমিক শীজান খানকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রীকে। যে ভিডিয়োতে তুনিশা ছাড়াও আরও বেশকয়েকজনকে দেখা যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তাঁদের পরিচয় না জানা গেলেও তাঁরা ধারাবাহিকের কর্মী বলেই মনে করা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, তুনিশার গলায় একটি লাল দাগ ছিল বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসক সুরেন্দ্র পাল। তিনি জানিয়েছেন, যখন তাঁকে তিনি দেখেছিলেন, ততক্ষণে তুনিশা মৃত। পুলিস সূত্রে জানা যায়, শনিবার আলিবাবা-দাস্তান-ই-কবুল ধারাবাহিকের শ্যুটিং চলাকালীন সেটের ওয়াশরুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন ২০ বছর বয়সী অভিনেত্রী তুনিশা শর্মা। কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন অভিনেত্রী, তা নিয়েই ওঠে প্রশ্ন। জানা যায় যে, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। এরপরই তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক অভিনেতা শীজান খানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন অভিনেত্রীর মা। শনিবারই তিনি পুলিসে অভিযোগ জানান, দায়ের হয় এফআইআর। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে ১৫ দিন আগেই তুনিশার সঙ্গে ব্রেক আপ হয়েছিল শীজানের। এদিকে সামনে আসা সিসিটিভি ফুটেজে সেই শীজানকেও তুনিশাকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে।  শ্যুটিং সেটের আর কোনও সিসিটিভি ফুটেজ যদি সংগ্রহ করা যায় তার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস।



এদিকে মৃত্য়ুর একঘণ্টা আগেও ইনস্টাগ্রামে রিল ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন তুনিশা শর্মা। শীজান খানের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজও সেরেছিলেন। তার ঠিক ১৫ মিনিট পর কীভাবে তুনিশা আত্মহত্যা করতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শেষ পোস্টে তুনিশা লিখেছিলেন, 'Those who are driven by their Passion Doesn’t stop.' এমন পজেটিভ পোস্ট করে কীভাবে কেউ আত্মহত্যা করতে পারেন, তা নিয়ে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। 


এদিকে এই মামলায় আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে শীজান খানকে। সোমবার পুলিসি হেফাজতে শীজান স্বীকার করেন যে, সে তুনিশার সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়েছিল।  ওয়ালিভ পুলিসের কাছে শীজান জানান, 'মৃত্যুর কিছুদিন আগেও একবার আত্মহত্যা চেষ্টা করেছিল তুনিশা। তখন আমিই ওকে উদ্ধার করি। তবে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের পর আমি ভয় পেয়ে যাই। তখনই আমি এই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নি। ধর্মের কারণেই এই সিদ্ধান্ত।’ মঙ্গলবার সামনে আসে নয়া তথ্য। সোমবার সকালে বিচ্ছেদের কারণ ধর্ম বললেও পরে শীজান বলেন তাঁর সঙ্গে তুনিশার বয়সের ফারাক অনেক, সেই কারণেই তিনি সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসতে চাইছিলেন। আবার শীজান এও জানান, দুই পরিবারের তরফেই এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি তাই তিনি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


এক মহিলা পুলিস অফিসারের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন শীজান খান। তাঁর বর্তমান প্রেমিকার কথা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তাঁর কোনও প্রেমিকা নেই। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের মাঝেই কাঁদতে শুরু করেন অভিনেতা। অভিনেতা হওয়ার কারণে সন্দেহ হয় পুলিসের, যে আদৌ এই কান্না আসল কিনা। কারণ পুলিসের মতে, শীজানের মুখে দুঃখের কোনও ছাপ নেই, তাই আচমকা কেন এই কান্না তা নিয়েই সন্দিহান পুলিস।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)