TV Actress Manjusha Death: `মৃত্যুকে ইয়ার্কি ভেবেছিল, বার বার বলছিল, আমিও মরে যাব,` মেয়ে মঞ্জুষার মৃত্যুতে মুখ খুললেন মা
` আমি চলে যাব, তোমরা শান্তিতে থেক...কালও সারারাত ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলে।` মডেল-অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের বান্ধবী ছিলেন মঞ্জুষা নিয়োগী (Manjusha Neogi)।
নিজস্ব প্রতিবেদন : "বিদিশার সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল। বিদিশার মৃত্যুর পর অবসাদে ভুগছিল। আমাকে বলেছিল আমিও মরে যেতে চাই। আমি চলে যাব, তোমরা শান্তিতে থেক। মৃত্যুকে ইয়ার্কি ভেবেছিল। ওর প্রচন্ড রাগ ও জেদ ছিল। ৬ মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল। আড়াই মাস আগেও ঝাঁপ দিতে গিয়েছিল। জামাই ওকে বাঁচিয়েছিল। জামাইয়ের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। ওর কোনও কিছুর অভাব ছিল না। কালও বার বার বলছিল, আমিও মরে যাব। শেষপর্যন্ত আমার বাড়িতেই আত্মহত্যা করল। মডেলিং ও সিরিয়াল করত। তবে এখন তেমন কোনও কাজ ছিল না। রেস্তরাঁয় খেতে ভালোবাসত। কালও বাঘাযতীনে ফটোশ্য়ুট করে আসে। রাতে খাওয়াদাওয়াও করে। রাতে অনেক দেরি করে ঘুমোত। রাত ২টো-আড়াইটে অবধি ফোনে গল্প করত। কালও সারারাত ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলে।" মেয়ে মঞ্জুষা নিয়োগী (Manjusha Neogi)-র রহস্য়মৃত্যুর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন মা।
মডেল-অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের বান্ধবী ছিলেন মঞ্জুষা নিয়োগী (Manjusha Neogi)। মঞ্জুষা নিজেও একজন মডেল। সিরিয়ালেও অভিনয় করেছেন। মঞ্জুষা টলিউডে কাজ করছেন বহু দিন ধরেই। একটি টিভি চ্যানেলে ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন। পাশাপাশি থিয়েটারেও অভিনয় করতেন তিনি। বুধবার নাগেরবাজারে ফ্ল্যাটে বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর, শুক্রবার সকালে পাটুলি বাড়িতে মঞ্জুষার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
বেডরুমে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সূত্রের খবর, সম্ভবত রাতেই এই ঘটনা ঘটেছে। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। সকালে ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকলে মুঞ্জুষা ঝুলন্ত দেহ দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান আত্মঘাতী হয়েছেন এই মডেল ও অভিনেত্রী। তবে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। পরিবারের তরফেও এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন, Mysterious Death in Tollywood: শুধু পল্লবী বা দিশা নয়, গ্ল্যামার দুনিয়ায় বারংবার ঘটেছে রহস্যমৃত্যু