নিজস্ব প্রতিবেদন: 'দাদার জন্য আগাম শুভেচ্ছা রইল। ভোটে দাঁড়ালে ভালোই হবে'। নন্দীগ্রামকাণ্ডের প্রতিবাদে মৌন মিছিলে যোগ দিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) সম্পর্কে 'তির্যক' মন্তব্য করলেন বারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)। তারকা প্রার্থীদের সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়ণ, 'যাঁরা রাজনীতি গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে সুপ্ত বাসনা ছিল। সুযোগ পেয়েছে, সবাই গিয়েছে। এর সঙ্গে ইন্ড্রাস্ট্রির কোনও সম্পর্ক নেই'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একুশের ভোটের (WB Assembly Election 2021) গেরুয়াশিবিরে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakarborty)। প্রথম দফায় ভোটের মনোনয়ন পর্ব শেষে প্রচারেও নামবেন তিনি। মিঠুনের জন্য ইতিমধ্যেই ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তাও ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বাংলার 'মহাগুরু' কি প্রার্থী হবেন? জল্পনা উসকে দিয়েছেন রাজ্যের দায়িত্ব প্রাপ্ত বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর বক্তব্য, 'দল যদি চায়, সেক্ষেত্রে মিঠুনকে রাজি করাতে তাঁর সঙ্গে কথা হবে'। প্রসঙ্গত, নির্বাচনী লড়াইয়ে আগ্রহী নন, ব্রিগেডের দিন মিঠুন নিজেই সেকথা বলেছিলেন। স্রেফ মোদীর হাত শক্ত করার কথাই বলেছিলেন তিনি। 


আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021: ভোটে দাঁড়াবেন মিঠুন? বিজেপির মুখ মহাগুরু!


ভোটের প্রচারে বিভিন্ন জনসভায় 'বহিরাগত' বলে বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ শানাচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী (Mamata Banerjee)।  'বাংলা তার নিজের মেয়েকেই চাই'  শ্লোগান তুলে প্রচার চলছে জোরকদমে। রাজনৈতিক মহলের মতে, মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) পাল্টা 'বাংলার ছেলে' হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে গেরুয়াশিবির। সেক্ষেত্রে মিঠুন চক্রবর্তী যদি মুখ্যমন্ত্রী হন? রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakraborty) প্রতিক্রিয়া, 'যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান, তাহলে তো মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রশ্ন আসবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বিকল্প নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই'।


আরও পড়ুন: WB assembly election 2021 : 'ইভিএমে জবাব দেবেন মানুষ', Mamata-র চোট নিয়ে সরব Kanchan


বারাকপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী। তবে তিনি একা নন, শাসকদলের প্রার্থীতালিকায় এবার তারকার ছড়াছড়ি। বাদ পড়েছেন ২৭ জন হেভিওয়েট বিধায়ক, এমনকী মন্ত্রীও। এই তারকা প্রার্থীদের চিরঞ্জিতের বিস্ফোরক মন্তব্য,' আমাদের বাংলার সিনেমার অবস্থা খুব খারাপ। ছবি হচ্ছে না, হাউসগুলিও (সিনেমাহল) বন্ধ। করোনার জন্য অনুষ্ঠানও নেই। ইন্ড্রাস্ট্রিতেএকটু সমস্যা চলছে। সেকারণে বিকল্প পেশা হিসেবে রাজনীতিতে আসছেন অভিনেতারা'। বারাসত কেন্দ্রে দলের প্রার্থীর সঙ্গে সহমত নন রাজ চক্রবর্তী। বললেন, সারা ভারতবর্ষেই সিনেমা হলের অবস্থা খারাপ। করোনা ও লকডাউনের পর সব জায়গাতেই একই অবস্থা। যাঁরা রাজনীতি গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সুপ্ত বাসনা ছিল। সুযোগ পেয়েছে, সবাই গিয়েছে। এর সঙ্গে ইন্ড্রাস্ট্রির কোনও সম্পর্ক নেই'।