প্রচারে বেরিয়ে কুলোতে সরষে বাছাই, ধামসা মাদলের তালে পা মেলালেন Sayantika
সায়ন্তিকার কথায়, ``প্রচারে বেরিয়ে মানুষের সঙ্গে মিশে ধীরে ধীরে চিনছি লালমাটির বাঁকুড়াকে।``
নিজস্ব প্রতিবেদন : সত্যিই শেখার কোনও শেষ নেই। শিখতে চান সায়ন্তিকা (Sayantika Banerjee)ও। রাঢ় বাংলার মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক কিছুই শিখে নিতে চান বাঁকুড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শিখে নিতে চান রাঢ় বাঁকুড়ার মানুষের শিরা ও ধমনিতে বয়ে চলা আদিবাসী সংস্কৃতির ধরন-ধারণ। সায়ন্তিকা (Sayantika Banerjee)র ভোট প্রচারে সেই ছবিই উঠে এল। কখনো তিনি গ্রামের গৃহবধূর হাত থেকে কুলো নিয়ে সরষে বাছাই করলেন। কখনও আবার ধামসা মাদলের তালে কখনো আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে কোমর দোলালেন।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sayantika Banerjee) জন্ম এবং বেড়ে ওঠা কলকাতাতেই। পেশার প্রয়োজনে জেলায় গেলেও তারকা হওয়ার বিড়ম্বনায় সেভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেশা হয়নি। তবে এবার তিনি অন্যপথে হাঁটলেন। তারকা হিসাবে নয়, শুধু সায়ন্তিকা হয়েই তিনি বাঁকুড়ার গ্রামগঞ্জে ঘুরে প্রচার চালাচ্ছেন। এখানে লাইট, আকশান, ক্যামেরার কমান্ড নেই। নেই তারকার মোড়কে নিজেকে মুড়ে রাখার কর্পোরেট দায়বদ্ধতা। প্রচারে বেরিয়ে নিজের মতো করেই বাঁকুড়াকে চিনতে চাইছেন তিনি। আর তাই, কখনো প্রচারের ফাঁকে তাঁর দেখা মিলছে অভিজাত লন টেনিসের কোর্টে, তো কখনও আবার মাটির কাছাকাছি থাকা গরীব কৃষক বাড়ির উঠানে। শুক্রবার প্রচারে বের হয়ে গ্রাম্যবধূর মতো কুলো হাতে সরষে বাছাই করতে দেখা গেল তাঁকে।
আরও পড়ুন-ভোটের প্রচারের ফাঁকে Lawn Tennis-এ মজে TMC-র তারকা প্রার্থী Sayantika
রাঢ় বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে ধামসা মাদলের তালে সাঁওতাল মহিলাদের সঙ্গে কোমরও দোলালেন সায়ন্তিকা (Sayantika Banerjee)। গলাও মেলালেন।
এদিন বাঁকুড়ার আধারথোল গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরুন্ডি, পাটদেউলি, তেওয়ারি গ্রামের মানুষ এই ভিন্ন সায়ন্তিকাকেই দেখল। সায়ন্তিকার (Sayantika Banerjee)কথায়, ''প্রচারে বেরিয়ে মানুষের সঙ্গে মিশে ধীরে ধীরে চিনছি লালমাটির বাঁকুড়াকে।''
আরও পড়ুন-ভোটের প্রচারের ফাঁকে মিউজিক্যাল চেয়ারে মজে TMC-র তারকা প্রার্থী Sayantika