নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘড়ি ডিটার্জেন্টের বিজ্ঞাপনটা দেখেছেন নিশ্চয়ই। কী, এক ঝলক দেখার পরই মন ভাল হয়ে গিয়েছে, তাই না! ওই হ্যাপিওয়ালা ফিলিং আর কি! যা দেখার পর আপনি এটাও ভাবছেন, কত সুন্দর একটা মেসেজ রয়েছে। সত্যিই তো, কাজ যাই হোক, তাকে কখনই ছোট-বড় হিসাবে বিচার করা উচিত নয়। প্রত্যেকটি কাজই প্রত্যেকে গুরুত্ব সহযোগে করছেন। তাই পেশা দিয়ে কাউকেই বিচার করা উচিত নয়। স্টেশন রোডের রিক্সা চালক মনা দা-ই (কাল্পনিক) হোক বা বাড়ির পরিচারিকা মিনতি দিদি-ই (কাল্পনিক) হোক, তাঁরা প্রত্যেকেরই সম্মান এবং শ্রদ্ধা প্রাপ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- পর্নসাইটে ট্রেন্ডিং ঈশিকার যৌনদৃশ্য! মুখ খুললেন ‘সেক্রেড গেমস’-র বাঙালি অভিনেত্রী


এখন প্রশ্ন, আমরা কি আদৌ তাঁদের সেই প্রাপ্যটা দিয়ে থাকি? হয়ত অনেকেই দেন। আবার অনেকেই দেন না। ওই ডিটার্জেন্ট সংস্থা তাদের বিজ্ঞাপনে এই সমস্যার কথাটাই তুলে ধরেছে। বিজ্ঞাপনের মূল বক্তব্যই হল ‘এই দীপাবলিতে মনের ময়লা দূর করো’।



 দীপাবলি স্পেশ্যাল এই বিজ্ঞাপন বাজারে এসেছে তিন দিনই হয়েছে। শনিবার নিজেদের ফেসবুক পেজে-এ এই বিজ্ঞাপন আপলোড করার পর থেকেই আট থেকে আশি ওই সংস্থার বিজ্ঞাপন নিয়ে কথা বলছে। নেটিজেনদের অনেকেই নিজেদের টাইমলাইনেও বিজ্ঞাপনটিকে পোস্ট টু টপ করে রেখেছে। মনোগ্রাহী এই বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই বলছেন, ‘এদের অ্যাডগুলো সবসময় অসাধারণ হয়। সত্যি সত্যি-ই মনের ময়লা দূর করে’। যা দেখার পর বিজ্ঞপনের কুশীলব ঈশিকা পর্যন্ত বলছেন তিনি বেজায় খুশি। একটা ‘কোয়ালিটি ওয়ার্ক’-এ একজন অভিনেত্রী যতটা খুশি হন ঈশিকা হয়ত তার থেকেও বেশি খুশি। আর ঈশিকার বেজায় খুশি হওয়ার কারণ মুম্বই ইন্ডাস্ট্রি তাঁর কাজকে গুরুত্ব দিচ্ছে, তাঁর প্রতিভাকে সুযোগ করে দিচ্ছে।


নিজের শহর ছেড়ে এই বাঙালি অভিনেত্রী মুম্বই-তে গিয়ে ঘর করছেন। একটা অচেনা শহরে অনেকগুলো অনিশ্চিয়তা নিয়ে ঈশিকা লড়াই করছেন। সেক্রেড গেমস-এ একটা ছোট্ট দৃশ্য তাঁকে শিরোনামে এনে দিয়েছিল। এবার একটি ডিটার্জেন্ট সংস্থার বিজ্ঞাপনে তিনিই মূল চরিত্রে। অভিনেত্রী জানাচ্ছেন, “ভাল কাজ এবং ধারাবাহিকভাবে ভাল কাজ করতে পারায় আমি খুশি। মুম্বই ইন্ডাস্ট্রি প্রতিভাকে সম্মান দিচ্ছে, এটাই আমার কাছে বড় পাওয়া”।