নিজস্ব প্রতিবেদন : ঋষি কাপুরের দ্বারা বাস্তবে নাকি রোম্যান্স বিষয়টা এক্কেবারেই হয় না। কোনও মহিলা যদিও ওর কাছেও ঘেঁষত, তাহলেও বিশেষ পাত্তা পেত না। বেশ কয়েক বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে স্বামীকে নিয়ে এমনই মন্তব্য করেছিলেন ঋষি কাপুর। তাও আবার অভিনেতার সামনে বসেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি ঋষি কাপুরের মৃত্যুর পর ঋষি ও নীতু কাপুরের সেই সাক্ষাৎকারটিই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করছে। ভিডিয়োতে নীতুকে বলতে শোনা যাচ্ছে,'' ও তেমন ছোকরাই ছিল না। রোম্যান্স করা বা কোনও সম্পর্কে জড়ানো এই বিষয়গুলোই ওর ঠিক আসে না। তাই এমন হওয়ার কোনও সম্ভবনাই নেই। যদি কোনও নায়িকা যদি ঋষি কাপুরের কাছেও ঘেঁষতো, তাতেও বিশেষ পাত্তা পেত না। কেউ কাছে এলে ও পালাবে।'' স্ত্রীর এমন কথাবার্তা শুনে পাশে বসে শিশুর মতোই হাসতে থাকেন ঋষি কাপুর।


আরও পড়ুন-করোনা কবলিত পৃথিবীতে বেঁচে মাত্র দুজন! 'একটি তারা : দ্যা লোনলি স্টার'এ কাল্পনিক ভবিষ্যৎ আঁকলেন পরিচালক


নীতু কাপুরের এই কথাবার্তা শুনে বেশ বোঝা যাচ্চে, যে ঋষি কাপুরজি যে তাঁকে ছাড়া আর কারোর দিকে ফিরে তাকাবেন না, বা অন্যকেউ ঋষি কাপুরের মন কাড়তেওপারবেন না, সেবিষয়ে তিনি নিশ্চিত।



একসঙ্গে অভিনয় করতে করতেই নীতু সিংয়ের প্রেমে পড়ছিলেন ঋষি কাপুর। ১৯৮০ সালের ৭ জানুয়ারি নীতু সিংয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেতা। নীতুর প্রেমে এতটাই হাবুডুবু খাচ্ছিলেন ঋষি কাপুর, যে চটপট বিয়েটা সেরে ফেলেন। অন্যদিকে বিয়ের পর সংসারে মন দেন নীতু। নিজেকে সিনেমার দুনিয়া থেকে সরিয়ে নেন তিনি। ঋদ্ধিমা, রণবীরের জন্মের পর তাঁদের নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েন নীতু কাপুর।


আরও পড়ুন-''লকডাউনে মদের দোকান খুললে গার্হস্থ্য হিংসা আরও বাড়বে'', বললেন ক্ষুব্ধ জাভেদ আখতার


তবে ঋষি কাপুরের অত্যাধিক সুরা প্রেম তাঁদের সম্পর্কে সাময়িক চিড় ধরালেও তা স্থায়ী হয়নি। জীবনের কোনও পর্যায়েই ঋষি কাপুরকে একা ছাড়েননি নীতু কাপুর। গত দুবছর যখন স্বামীর ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কথা জেনেছিলেন, তখনও একাই স্বামীর সঙ্গে নিউ ইয়র্কে থেকেছেন তাঁর চিকিৎসা করানোর জন্য। মাঝে মধ্যে অবশ্য রণবীর, ঋদ্ধিমাও সঙ্গী হয়েছেন তাঁর। তবে শেষপর্যন্ত সেই নীতু কাপুরকে একা ছেড়ে চলেই গেলেন ঋষি কাপুর। সেটাই যেন মানতে পারছেন না নীতু কাপুর। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে নীতু কাপুর লেখেন ''আমাদের গল্পের এখানেই শেষ হল।'' আর একথা পড়েই অনেক অনুরাগীর চোখ ভিজেছে।