ওয়েব ডেস্ক : সঞ্জয় খান বিবাহিত। তাও তাঁকে ভালবেসেছিলেন জিনাত আমন। জিনাত বলিউডের সেই নায়িকা, যাঁকে দেখে বলিউডে আট থেকে আশির হৃদয়ে তুফান উঠত। সেই মোহময়ী জিনাত আমনই এক সময় বিবাহিত সঞ্জয় খানের প্রেমে পড়ে যান। বিয়েও করে নেন সঞ্জয় খানকে। কিন্তু, সেই বিয়ের মেয়াদ এক বছরের বেশি হয়নি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা যায়, ১৯৭৮ সালে সঞ্জয় খানকে বিয়ে করেন জিনাত আমন। ওই সময় অনেকেই জিনাতকে সাবধান করেছিলেন। কিন্তু, জিনাত নাকি কোনও কথাই শোনেননি। উল্টে বলেছিলেন, ‘আমি ওই মানুষটিকে ভালবাসি। তোমারা কেন বুঝতে পার না। ওকে জীবনের সব পদক্ষেপে আমি সাহায্য করব। একদিন আমি ওকে রাজা করব।’ কিন্তু, জিনাতের সেই স্বপ্ন কোনওদিন পূরণ হয়নি। বিয়ের এক বছরের মধ্যেই সঞ্জয় খানের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁর। প্রেম থেকে বিয়ে এবং বিচ্ছেদ, এই তিন পর্যায়ে সঞ্জয় খানের হাতে কীভাবে জিনাত আমনকে মার খেতে হয়েছে জানেন?


সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে জিনাত আমন এবং সঞ্জয় খানের সম্পর্কের বিষয় নিয়ে নিয়ে একটি খবর বের হয়। আর সেখানেই জানা যায়, সঞ্জয় খানকে বিয়ের আগেই একদিন  নাকি মুম্বইয়ের একটি পাঁচতারা হোটেলে সবার সামনে জিনাতকে মারধর করা হয়। জিনাতের সঙ্গে সঞ্জয়ের অমানবিক ব্যবহারের সময় সেখানে অনেকে হাজির ছিলেন। হাজির ছিলেন সঞ্জয় খানের প্রথম স্ত্রী জারিন খানও। সঞ্জয় খানের হাতে জিনাত মার খাওয়ার সময় চিত্কার করে ওঠেন জারিন। সঞ্জয়ের পাশাপাশি জারিনও জিনাতকে লাথি মারতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। এমনকী, জিনাতের সঙ্গে ওই ব্যবহার সঠিক কাজ বলেও ওই সময় মন্তব্য করতে শুরু করেন জারিন। সঞ্জয় খানের মারে জিনাত রক্তাক্ত হলেও, ওই সময় পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি বলিউডের ওই নায়িকা।


জিনাত আমনের চিকিত্সক জানিয়েছেন, সেবার প্রথম সঞ্জয় খানের হাতে জিনাত মার খেয়েছিলেন, তা নয়। তার আগেও জিনাতের পিঠে লাথি মেরেছিলেন সঞ্জয়। যার জেরে জিনাত আমনের পিঠের একটি হাড় ভেঙে গিয়েছিল বলেও জানান ওই চিকিত্সক।